গোয়ায় কলেজপড়ুয়াদের জন্য নির্দিষ্ট পোশাক বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। —ফাইল চিত্র।
গোয়ায় স্কুলের পাশাপাশি কলেজপড়ুয়াদের জন্যও নির্দিষ্ট পোশাক বা ‘ইউনিফর্ম’ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। শনিবার এই সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে গোয়ার রাস্তায়। মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তকে চিঠি লিখেছে নাগরিক সমাজ। এই ধরনের নির্দেশিকা নাগরিকদের অধিকার এবং স্বাধীনতা খর্ব করছে বলে দাবি।
২০২৪ সালের জুন মাসে কলেজপড়ুয়াদের জন্য পোশাকবিধি বাধ্যতামূলক করে নির্দেশিকা জারি করেছিল গোয়ার উচ্চশিক্ষা দফতর। তাতে বলা হয়েছিল, গোয়ার সরকারি এবং সরকারপোষিত সমস্ত কলেজে প্রথম এবং দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের নির্দিষ্ট পোশাক পরে কলেজে আসতে হবে। তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে এই নিয়মে ছাড় দেওয়া যেতে পারে। ওই নির্দেশিকা কার্যকর করা হলে ক্ষোভ ছড়ায় পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের মধ্যে। শনিবার তার জেরেই বিক্ষোভ দেখানো হয়।
উচ্চশিক্ষা দফতরের সিদ্ধান্তে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন মানুষ। চিঠিতে বলা হয়েছে, এই ধরনের নির্দেশিকা অযৌক্তিক এবং সংবিধানের পরিপন্থী। ভারতীয় সংবিধানে ১৮ বছরে নাগরিকদের ভোটাধিকার দেওয়া হয়েছে। তাঁদের উপর পোশাকবিধি প্রয়োগ করলে তাঁদের স্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘিত হয়। তাই সরকারের এই সিদ্ধান্ত বিতর্কিত। জাতীয় শিক্ষানীতিরও বিরোধিতা করা হচ্ছে এই নির্দেশিকায়, দাবি নাগরিকদের। জাতীয় শিক্ষানীতিতে অষ্টম শ্রেণির পর পড়ুয়াদের ইচ্ছামতো পোশাক পরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে আরও দাবি করা হয়েছে, কলেজপড়ুয়াদের উপর পোশাকবিধি চাপিয়ে বহু পরিবারে বাড়তি আর্থিক বোঝা চাপাচ্ছে সরকার। কলেজে সাধারণত কোনও নির্দিষ্ট পোশাক পরতে হয় না। সেই অনুযায়ী সন্তানের উচ্চশিক্ষার পরিকল্পনা করে রেখেছেন বাবা-মায়েরা। কিন্তু পোশাক বাধ্যতামূলক করে দেওয়ায় তাঁদের উপর বাড়তি চাপ পড়ছে। অনেকের পোশাক কেনার সামর্থ্য নেই বলে দাবি একাংশের। অবিলম্বে তাই এই নির্দেশিকা প্রত্যাহারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করা হয়েছে।