প্রতারণার মামলায় অভিযুক্তকে আমেরিকা থেকে নিয়ে আসা হল ভারতে। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
৭৭ কোটি টাকার প্রতারণার মামলায় অভিযুক্ত গুজরাতের বাসিন্দাকে ভারতে ফেরত পাঠাল আমেরিকা। বীরেন্দ্রভাই মনিভাই পটেল নামে ওই অভিযুক্ত একটি ব্যাঙ্কের ডিরেক্টর পদে ছিলেন। ২০০২ সালে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা রুজু করে গুজরাত পুলিশ। কিন্তু তিনি পলাতক ছিলেন। ফেরার বীরেন্দ্রভাইকে খুঁজতে ইন্টারপোলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ২০০৪ সালে অভিযুক্তের খোঁজে রেড কর্নার নোটিস জারি করে ইন্টারপোল। তার দুই দশকেরও বেশি সময় পর অবশেষে আমেরিকায় ধরা পড়েন অভিযুক্ত। তাঁকে ইতিমধ্যে ভারতে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ভারতের তদন্তকারী সংস্থাগুলির হয়ে ইন্টারপোলের সঙ্গে সমন্বয়ের দায়িত্বে রয়েছে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)। ফেরার অভিযুক্তের খোঁজে গুজরাত পুলিশ প্রথমে সিবিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে সিবিআইয়ের তরফে ইন্টারপোলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সম্প্রতি অভিবাসন কর্তৃপক্ষ এবং গুজরাত পুলিশের সহযোগিতায় সিবিআইয়ের ‘গ্লোবাল অপারেশনস সেন্টার’-এর আধিকারিকেরা অভিযুক্তকে অহমদাবাদে নিয়ে এসেছেন।
পাশপাশি পৃথক একটি প্রতারণার মামলায় তাইল্যান্ড থেকেও এক অভিযুক্তকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধেও ইন্টারপোল থেকে রেড কর্নার নোটিস জারি করানো হয়েছিল। তামিলনাড়ুতে ৮৭ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে জনর্থন সুন্দরম নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তামিলনাড়ুর পুলিশের আর্থিক অপরাধদমন শাখার খাতায় তিনি ফেরার ছিলেন বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে। ২০২৩ সালে ইন্টারপোল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস জারি করে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, গত ২৮ জানুয়ারি অভিযুক্ত ব্যাঙ্ককে পৌঁছন। কিন্তু রেড কর্নার নোটিস থাকার কারণে বিমানবন্দরেই আটকে দেওয়া হয় তাঁকে। পরে ব্যাঙ্ককে ভারতীয় দূতাবাসের সাহায্যে কলকাতা বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয় অভিযুক্তকে। সেখান থেকেই তাঁকে তুলে দেওয়া হয় তামিলনাড়ু পুলিশের হাতে।