Manipur Violence

ফের অশান্ত মণিপুর, কুকিদের মধ্যেই লড়াইয়ে নিহত চার

মণিপুরের কাংপোকপিতে সংবাদপত্র সংস্থার জন্য নিয়ে যাওয়া নিউজ়প্রিন্টের ট্রাক থামিয়ে নিউজ়প্রিন্টের বেশ কয়েকটি রিম পুড়িয়ে দিয়েছে কুকি জঙ্গিরা। প্রতিবাদে আজ রাজ্যের সব সংবাদকর্মী সংগঠন ধর্মঘটে শামিল হয়।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২৪ ০৮:৩৮

—প্রতীকী চিত্র।

Advertisement

মণিপুরে কুকিদের মধ্যে লড়াইয়ে নিহত হলেন চার জন। তাঁদের মধ্যে তিন জন কুকি-জ়ো গ্রামরক্ষী এবং এক জন ইউকেএলএফ জঙ্গি। শুক্রবার সকালে মলনৌ পাল্লেল ও মলনোম এলাকায় জঙ্গি ও গ্রামরক্ষীদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এক সময়ে দুই পক্ষই গুলি চালাতে থাকে। তিন গ্রামরক্ষীর মৃত্যুর পরে পাল্লেলে গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ইউকেএলএফ নেতা এস এস হাওকিপের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এলাকায় প্রচুর সেনা ও আধাসেনা পাঠানো হয়েছে।

মণিপুরের কাংপোকপিতে সংবাদপত্র সংস্থার জন্য নিয়ে যাওয়া নিউজ়প্রিন্টের ট্রাক থামিয়ে নিউজ়প্রিন্টের বেশ কয়েকটি রিম পুড়িয়ে দিয়েছে কুকি জঙ্গিরা। প্রতিবাদে আজ রাজ্যের সব সংবাদকর্মী সংগঠন ধর্মঘটে শামিল হয়। কোনও খবরের চ্যানেলে খবর প্রচার হয়নি। আগামিকাল প্রকাশিত হবে না
কোনও সংবাদপত্র।

সাংবাদিকদের সংগঠনগুলি প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ঘটনার জন্য রাজ্যের ডিজিপি, নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও আসাম রাইফেলসকে দায়ী করেছে। ইম্ফল-ডিমাপুর সড়কের সুরক্ষার ভার সেনার হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়। বিধানসভায় নির্দল বিধায়ক সাপাম নিশিকান্ত দাবি করেন, আসাম রাইফেলস তাদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করলে এই ঘটনা ঘটত না।

এ দিকে, বৃহস্পতিবার বিকেলে চূড়াচাঁদপুরের কাংভাই এলাকা থেকে মেইতেই এলাকা লক্ষ্য করে অনেক ক্ষণ গুলি চালায় কুকিরা। পুলিশ ও আধাসেনাও কুকিদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তবে হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। সম্প্রতি তোরবুংয়ের মামাং লেইকাই এলাকা খালি করে পালিয়ে যাওয়া মেইতেইরা ফের গ্রামে ফিরেছেন। সেই গ্রাম লক্ষ্য করে গুলি চলায় বাসিন্দারা প্রাণভয়ে ফের পালান।

আরও পড়ুন
Advertisement