কর্নাটক পুলিশের প্রাক্তন ডিজি ওম প্রকাশ। —ফাইল চিত্র।
কর্নাটকের প্রাক্তন পুলিশ প্রধান ওম প্রকাশের দেহ উদ্ধার হল তাঁর বেঙ্গালুরুর বাসভবন থেকে। ঘরের মেঝেতে পড়ে ছিল তাঁর রক্তাক্ত দেহ। গোটা ঘরে রক্ত ছড়িয়ে পড়েছিল। কর্নাটক পুলিশের প্রাক্তন ডিজিকে খুন করা হয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের। আটক করা হয়েছে তাঁর স্ত্রীকেও। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, পরিবারেরই কেউ তাঁকে খুন করেছেন। কর্নাটক পুলিশের প্রাক্তন প্রধানের দেহ ইতিমধ্যে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, কেন তাঁকে খুন করা হল, সে বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
সংবাদমাধ্যমের একাংশে প্রকাশ, ওই অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। ছুরি বা ধারালো কোনও বস্তু দিয়ে তাঁর শরীরে কোপ বসানো হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। যদিও কী ঘটেছিল, সে বিষয়ে আরও স্পষ্ট হতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাত পাওয়ার অপেক্ষা করছে পুলিশ।
৬৮ বছর বয়সি ওই অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্তা ১৯৮১ সালের ব্যাচের আইপিএস আধিকারিক ছিলেন। বিহারের চম্পারন এলাকা থেকে উঠে আসা ওম ২০১৫-১৭ সাল পর্যন্ত কর্নাটকের ডিজিপি ছিলেন। ২০১৭ সালে কর্নাটক পুলিশের ডিজি পদে থাকাকালীনই অবসর নেন তিনি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলিতে জানানো হয়েছে, প্রাক্তন ডিজিপিকে খুন করা হয়েছে বলেই সন্দেহ করছে পুলিশ। সেই মতো তদন্তও শুরু হয়েছে। সে ক্ষেত্রে কোনও পারিবারিক বিবাদ চলছিল কি না, বা দম্পতির মধ্যে কোনও বিষয় নিয়ে সম্পর্কের টানাপড়েন চলছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একাংশের দাবি, অবসরপ্রাপ্ত ওই পুলিশকর্তা বেশ কিছু ঋণ নিয়েছিলেন। সে ক্ষেত্রে পরিবারে কোনও আর্থিক সমস্যার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে কি না, তা-ও তদন্তের আওতায় রাখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।