ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন চেন্নাই। মঙ্গলবার পর্যন্ত বৃষ্টির সতর্কতা জারি। ছবি: পিটিআই।
দুর্যোগ কিছুটা কেটেছে। শনিবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় ‘ফেনজল’ আছড়ে পড়ে পুদুচেরি এবং তামিলনাড়ুর উপকূলে। অবশ্য তার আগে থেকেই ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে চেন্নাই-সহ তামিলনাড়ুর উপকূলীয় জেলাগুলি। জলমগ্ন হয়ে যায় চেন্নাইয়ের বেশির ভাগ অংশ। প্রবল বৃষ্টি আর ঝোড়ো হাওয়ার জেরে শনিবার দুপুর ১২টা থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল চেন্নাই বিমানবন্দর।
তবে দুর্যোগ একটু কাটতেই রবিবার ভোর ৪টে থেকে বিমান পরিষেবা চালু করা হয় চেন্নাই বিমানবন্দরে। ঘূর্ণিঝড় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তার জেরে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে তাতে বিমান পরিষেবায় খুব একটা প্রভাব পড়বে না বলে দাবি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিমান পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হয় যাত্রীদের। যদিও বিভিন্ন বিমান সংস্থার দাবি, যাত্রীদের আগাম বার্তা দিয়েছিল। কিন্তু যাত্রীদের অভিযোগ, আচমকা বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ায় সমস্যায় পড়েন তাঁরা।
যাত্রীদের একাংশ আবার চূড়ান্ত অব্যবস্থার অভিযোগ তুলেছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বিমানবন্দরেই অনেক যাত্রীকে এই দুর্যোগের মধ্যে রাত কাটাতে হয়েছে। অনেকের অভিযোগ, বিমান বাতিলের আগাম কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি। বিকল্প কোনও ব্যবস্থাও করা হয়নি বলে অভিযোগ। তবে পরিস্থিতি কিছুটা অনুকূল হতেই ১৬ ঘণ্টা পর আবার বিমান পরিষেবা চালু করা হয়। রাত ১টাতেই পরিষেবা চালু করার কথা ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি আরও কিছুটা দেখে নেওয়ার পরই ভোর ৪টে থেকে পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
বিমান পরিষেবা চালু হলেও লোকাল ট্রেন পরিষেবা এখনও স্বাভাবিক হয়নি চেন্নাইয়ে। বহু জায়গায় রেললাইন ডুবে রয়েছে। তবে মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক। রবিবার সকাল সওয়া ৭টা পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে পুদুচেরি এবং মইলামে। ৪৯০ এবং ৫০৪ মিলমিটার বৃষ্টি হয়েছে এই দুই জায়গায়। চেন্নাইয়ে বৃষ্টি হয়েছে ৪৯৪ মিলিমিটার। তবে রবিবার সারা দিন বৃষ্টি হবে তামিলনাড়ুর ভিলুপ্পুরম, কুড্ডালোর, কল্লাকুরিচি, তিরুবন্নামালাই জেলায়। বৃষ্টি চলবে পুদুচেরিতেও।