Rajasthan

Rajasthan: সাতটি হাসপাতালে ঘুরেও চিকিৎসা মেলেনি! বলল, পিটুনিতে নিহত দলিত ছাত্রের পরিবার

জালৌরের সুরানা গ্রামের ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ অবশ্য পানীয় জলের কলসি ছোঁয়ার ঘটনা নিয়ে বিবাদের কথা অস্বীকার করেছেন।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
জোধপুর শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২২ ১৩:১৪
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

দু’রাজ্যের সাতটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাকে ১৫ দিনে। কিন্তু প্রয়োজনীয় চিকিৎসা মেলেনি কোথাও। শেষ পর্যন্ত তিলে তিলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হয়েছিল, উচ্চবর্ণের পানীয় জলের কলসি ছোঁয়ার ‘অপরাধে’ পিটুনির শিকার রাজস্থানের ন’বছরের দলিত ছাত্রকে ইন্দ্র মেঘওয়ালকে।

জালৌর জেলার সুরানা গ্রামের স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ইন্দ্রকে ২০ জুলাই চালি সিংহ নামে এক শিক্ষক মারধর করেন বলে অভিযোগ। ইন্দ্রর পরিবারের অভিযোগ, চোখ, কান এবং পায়ে গুরুতর আঘাত লেগেছিল তার। চলচ্ছক্তিও হারিয়ে ফেলেছিল। পরবর্তী দু’সপ্তাহে রাজস্থান ও গুজরাতের সাতটি হাসপাতালে ঘুরেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা মেলেনি ওই দলিত ছাত্রের।

Advertisement

একটি সংবাদমাধ্যমে ইন্দ্রের কাকা বলেন, ‘‘আমরা ওকে (ইন্দ্র) সাতটি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু ঠিক ভাবে চিকিৎসা করেনি। শেষ পর্যন্ত আমরা আমদাবাদে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানেই গত ১৩ অগস্ট ওর মৃত্যু হয়।’’ পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, তাঁরা চেয়েছিলেন সমস্ত আত্মীয়-পরিজনেরা না আসা পর্যন্ত ইন্দ্রের শেষকৃত্যের অপেক্ষা করতে। পুলিশ-প্রশাসন চাপ দিয়ে দ্রুত শেষকৃত্যের জন্য বাধ্য করেছিল। ইন্দ্রের কাকা বলেন, ‘‘প্রতিবাদ জানাতে গেলে আমাদের উপর লাঠিচার্জ করা হয়। আমি আহত হয়েছি।’’

সুরানা গ্রামের ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ অবশ্য পানীয় জলের কলসি ছোঁয়ার ঘটনা নিয়ে বিবাদের কথা অস্বীকার করেছেন। তাঁদের দাবি, স্কুলে কলসি রাখার কোনও ব্যবস্থাই নেই। একটি জলের ট্যাঙ্ক রয়েছে। সেই ট্যাঙ্কের কল খুলেই পড়ুয়ারা জলপান করে। ইন্দ্রের সঙ্গে বই নিয়ে দুই সহপাঠীর মারামারি হয়েছিল বলেও স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি।

আরও পড়ুন
Advertisement