আহত ব্যক্তিকে কাঁধে নিয়ে নৌকায় স্রোত ঠেলে ১৪ কিলোমিটার দূরের হাসপাতালে গেল পরিবার!
ছত্তীসগঢ় সীমান্তের ভামরাগঢ় গ্রামীণ হাসপাতাল নিকটবর্তী বেশ কয়েকটি জনজাতি অধ্যুষিত গ্রামের একমাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্র। সেখানে যেতে হলে পথে একটি খরস্রোতা নদী পেরোতে হয়। পারাপারের জন্য কোনও সেতুও নেই।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা
শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪ ১৯:০২
খাটিয়ায় করে আহত মল্লুকে নিয়ে হাসপাতাল চলেছেন তাঁর পরিবার। ছবি: এক্স (পূর্বতন টুইটার)।
আহত এক ব্যক্তিকে কাঁধে নিয়ে নৌকায় খরস্রোতা নদী পেরিয়ে ১৪ কিলোমিটার দূরের হাসপাতালে পৌঁছল পরিবার! বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের গড়চিরৌলি জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।
আহত ব্যক্তির নাম মল্লু মাজি। বছর ৬৭-র মল্লু মুম্বই শহর থেকে প্রায় ১০০০ কিলোমিটার দূরের ভামরাগড় তহশিলের ভাটপার গ্রামের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার খামারে কাজ করার সময় আহত হন তিনি। এর পর আর দেরি করেনি তাঁর পরিবার। তাঁর ছেলে পুসু মাজি-সহ পরিবারের কয়েক জন সঙ্গে সঙ্গে একটি খাটিয়াকে উল্টে অস্থায়ী স্ট্রেচার বানিয়ে ফেলেন। তার পর তাতে মল্লুকে শুইয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন। নৌকায় আর পায়ে হেঁটে প্রায় ১৪ কিলোমিটারেরও বেশি পথ পাড়ি দিয়ে হাসপাতালে পৌঁছন তাঁরা।
জনৈক স্বাস্থ্য আধিকারিক শনিবার সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ছত্তীসগঢ় সীমান্তে অবস্থিত ভামরাগঢ় গ্রামীণ হাসপাতাল মল্লুদের গ্রাম থেকে ১৪ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে। এটিই নিকটবর্তী বেশ কয়েকটি জনজাতি অধ্যুষিত গ্রামের একমাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্র। ভাটপার থেকে সেখানে পৌঁছতে হলে মাঝে একটি খরস্রোতা নদী পেরোতে হয়। নদীগুলি পারাপারের জন্য কোনও সেতুও নেই। তাই লম্বা কাঠের নৌকায় স্রোত পেরিয়ে ফের মল্লুকে কাঁধে নিয়ে পায়ে হেঁটেই বাকি পথ পাড়ি দেন তাঁর পরিবার। ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিকিৎসকের বারণ সত্ত্বেও রোগীকে নিয়ে একই পথে ভাটপার ফিরেছেন তাঁরা।
