Cyber Fraud

পুলিশ সেজে লাগাতার ফোন, ভিডিয়ো কলে হুমকি! ৫০ লাখ খুইয়ে মৃত্যু বৃদ্ধ দম্পতির

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৫ ১২:০৭
বৃদ্ধ দম্পতিকে ফোন করে ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ।

বৃদ্ধ দম্পতিকে ফোন করে ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

কর্নাটকে সাইবার প্রতারকদের অত্যাচারে আত্মঘাতী হলেন বৃদ্ধ দম্পতি। বাড়ি থেকে তাঁদের দেহ উদ্ধারের পর প্রাথমিক ভাবে পুলিশ একে খুনের ঘটনা বলে মনে করেছিল। কিন্তু পরে তাঁদের সুইসাইড নোট মেলে। প্রতারকদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

কর্নাটকের বেলাগাভির বাসিন্দা ৮৩ বছরের দিয়াঙ্গো নাজারাত এবং তাঁর স্ত্রী ৭৯ বছরের প্লাইভিয়ানা নাজারাত। নিঃসন্তান এই দম্পতি বাড়িতে একাই থাকতেন। তাঁরা দু’জনেই মহারাষ্ট্র সেক্রেটারিয়েটে কর্মরত ছিলেন। অভিযোগ, দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখার আধিকারিক সেজে তাঁদের ফোন করা হত। নিয়মিত ভয় দেখানো হত। এ ভাবে তাঁদের কাছ থেকে দফায় দফায় মোট ৫০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দম্পতি পুলিশের দ্বারস্থ হননি। তাঁরা আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।

কর্নাটকে আত্মঘাতী হয়েছেন বৃদ্ধ দম্পতি।

কর্নাটকে আত্মঘাতী হয়েছেন বৃদ্ধ দম্পতি। ছবি: সংগৃহীত।

বেলাগাভিতে নিজেদের বাড়ির ভিতরেই বৃদ্ধের রক্তাক্ত দেহ পড়ে ছিল। পুলিশের অনুমান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজের গলা কেটেছেন তিনি। তাঁর স্ত্রীর দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল না। তিনি বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। সুইসাইড নোট থেকে জানা গিয়েছে, সাইবার অপরাধে লক্ষ লক্ষ টাকা হারিয়েছেন তাঁরা।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে দম্পতির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন প্রতারকেরা। নিজেদের তাঁরা দিল্লি পুলিশের অপরাধদমন শাখার আধিকারিক বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। দম্পতিকে তাঁরা জানান, তাঁদের মোবাইল নম্বর এবং পরিচয়পত্র ব্যবহার করে নানা অপরাধমূলক কাজ করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশের খাতায় উঠে গিয়েছে তাঁদের নাম। গ্রেফতারি এড়াতে দম্পতিকে টাকার মাধ্যমে সমঝোতা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রথম দফাতেই চাওয়া হয় পাঁচ লক্ষ টাকা।

প্রতারিত হচ্ছেন, বুঝতে পারেননি দম্পতি। তাঁরা টাকা দিয়ে দিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন, পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়ার পর বিপদ কাটবে। কিন্তু তার পরেও ফোন আসতে থাকে। চলতে থাকে ব্ল্যাকমেল। দফায় দফায় আরও টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় এই দম্পতির কাছ থেকে। তার পরেই তাঁরা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁদের মোবাইলের ফোনাফুনির নথি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।

Advertisement
আরও পড়ুন