দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। — ফাইল চিত্র।
একই দিনে পর পর দু’টি সমন পেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। আবগারি নীতির পর এ বার দিল্লি জল বোর্ড মামলাতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে কেজরীওয়ালকে ডেকে পাঠাল ইডি। ১৮ মার্চ অর্থাৎ সোমবারই দিল্লির ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইডির এই সমনকে বিজেপির ‘চক্রান্ত’ বলে দাবি আম আদমি পার্টির (আপ)। কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করতেই বিজেপি ‘ব্যাকআপ’ পরিকল্পনা করে দিল্লি জল বোর্ড মামলাতে সমন পাঠানো হল।
রবিবার সকালেই দিল্লির আবগারি নীতি মামলায় ইডির সমন পেয়েছেন কেজরী। আগামী ২১ মার্চ তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এই নিয়ে আবগারি মামলায় নবম সমন পাঠিয়েছে ইডি। এর আগে এক বারও হাজিরা দেননি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার আদালতে এই সংক্রান্ত মামলায় তাঁকে ‘স্বস্তি’ দিয়েছে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। কোর্ট জানায়, এখনই কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করতে পারবে না ইডি।
আদালতে ‘স্বস্তি’ পাওয়ার পরই ইডির নোটিস পেলেন কেজরীওয়াল। শুধু আবগারি মামলায় নয়, তাঁকে দিল্লি জল বোর্ড মামলাতেও তলব করা হয়েছে বলেই খবর। অভিযোগ, দিল্লি জল বোর্ডে আর্থিক তছরুপ রয়েছে বলে অভিযোগ। সেই মামলাতেই নাম জড়িয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর। তবে আপের দাবি, লোকসভা ভোটের আগে ইডি এবং সিবিআইকে দিয়ে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে বিজেপি।
সাংবাদিক বৈঠক করে দিল্লির মন্ত্রী তথা আপ নেত্রী অতীশী বলেন, ‘‘আবগারি নীতির পর এ বার দিল্লি জল বোর্ড ইস্যুর মাধ্যমে ভোটের আগে কেজরীওয়ালকে নিশানা করছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। আবগারি নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা নিয়ে সংশয় দেখা দিতেই নতুন এক মামলায় তাঁর নাম জড়ানো হল। এটা বিজেপির ব্যাকআপ পরিকল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়। বিজেপি চাইছেই যে ভাবে হোক ভোটের আগে কেজরীওয়ালকে জেলবন্দি করতে।’’ এখন প্রশ্ন হল, সোমবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ইডির সমনে হাজিরা দেবেন না কি আবার বিষয়টি আদালতের নজরে আনবেন?