Earthquake in Afganistan

বুধবার ভোরে কেঁপে উঠল দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকা! উৎসস্থল ছিল এ বার আফগানিস্তান, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৫.৬

বুধবার ভোর ৪টে ৪৪ মিনিট নাগাদ (ভারতীয় সময়) কম্পন অনুভূত হয় আফগানিস্তানে। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল আফগানিস্তানের বাঘনাল থেকে ১৬৪ কিলোমিটার পূর্বে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৭৫ কিলোমিটার গভীরে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:০৯
Earthquake of magnitude 5.6 hits Afghanistan, tremors felt in Delhi-NCR

আফগানিস্তান ফের কেঁপে উঠল ভূমিকম্পে। —প্রতীকী ছবি।

ভোরের আলো তখনও ভাল করে ফোটেনি। হঠাৎ কেঁপে উঠল বাড়িঘর, রাস্তাঘাট সর্বত্র! আতঙ্কে অনেকেই ঘুম থেকে উঠে ঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন! বুধবার ভোরে এমনই অভিজ্ঞতা হল দিল্লি এবং তার সংলগ্ন বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষের। আফগানিস্তানের ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে রাজধানী। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৬।

Advertisement

ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের (ইমএসসি) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বুধবার ভোর ৪টে ৪৪ মিনিট নাগাদ (ভারতীয় সময়) কম্পন অনুভূত হয় আফগানিস্তানে। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল আফগানিস্তানের বাঘনাল থেকে ১৬৪ কিলোমিটার পূর্বে ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার গভীরে। আফগানিস্তানের এই ভূমিকম্পের রেশ দিল্লিতে অনুভূত হয়েছে বলে সমাজমাধ্যমে দাবি করেন অনেকে।

আফগানিস্তান প্রায়ই কেঁপে ওঠে ভূমিকম্পে। ঘন ঘন কম্পনে আতঙ্কে থাকেন সে দেশের নাগরিকেরা। গত ২১ মার্চও আফগানিস্তানে ভূমিকম্প হয়। সেই সময় কম্পনের মাত্রা ছিল ৫। তার আগে ১৩ মার্চেও ভূমিকম্প হয়। তবে তখন কম্পনের মাত্রা তুলনামূলক কম ছিল। উল্লেখ্য, আফগানিস্তান একটি ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। হিন্দুকুশ পর্বতমালার পাদদেশে অবস্থিত এই দেশ বার বারই কেঁপে ওঠে ভূমিকম্পে। বুধবার আফগানিস্তানে ভূমিকম্প হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে কম্পন অনুভূত হয় ফিলিপিন্সে। সেখানেও কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৬।

গত কয়েক দিনের মধ্যে এশিয়ার কয়েকটি দেশে ভূমিকম্প হয়। সপ্তাহ দুই আগে পর পর দু’বার জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ভারতের পড়শি দেশ মায়ানমার। রিখটার স্কেলে প্রথমটির কম্পনের মাত্রা ৭.৫ এবং দ্বিতীয়টির মাত্রা ৭ বলে জানিয়েছিল ভারতের ভূকম্প পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি। কম্পন অনুভূত হয় দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অংশে। মৃদু কম্পন টের পাওয়া যায় কলকাতাতেও। সেই ভূমিকম্পের জেরে মায়ানমারে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৩,০০০। গৃহহীন হন অনেকে। প্রভাব পড়েছিল প্রতিবেশী তাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককেও। গত ৪ এপ্রিলও দিল্লি কেঁপে উঠেছিল। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানায়, ভূমিকম্পের উৎসস্থল নেপালে ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০ কিলোমিটার গভীরে।

Advertisement
আরও পড়ুন