Shraddha Walker Murder

দিল্লির জঙ্গলে মেলা হাড়ের টুকরো আসলে কার? জানাল ডিএনএ রিপোর্ট, শ্রদ্ধাকাণ্ডে নয়া মোড়

দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, শ্রদ্ধার বাবার ডিএনএ-র নমুনা সংগ্রহ করে তার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়েছিল জঙ্গল থেকে উদ্ধার হওয়া হাড়গোড়। সেই রিপোর্টই প্রকাশ্যে এল বৃহস্পতিবার।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪:৩০
দিল্লির জঙ্গল থেকে মেলা হাড়ের টুকরো শ্রদ্ধারই, জানাল ডিএনএ রিপোর্ট।

দিল্লির জঙ্গল থেকে মেলা হাড়ের টুকরো শ্রদ্ধারই, জানাল ডিএনএ রিপোর্ট। — ফাইল ছবি।

দিল্লির মেহরৌলির জঙ্গল থেকে যে হাড়ের টুকরো উদ্ধার করেছিল পুলিশ, সেগুলি শ্রদ্ধা ওয়ালকরের। বৃহস্পতিবার ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। শ্রদ্ধা-খুনে মূল অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালা গ্রেফতারের পর ওই জঙ্গলে নিয়ে গিয়েছিলেন পুলিশকে।

শ্রদ্ধার বাবার ডিএনএ-র নমুনা সংগ্রহ করে তার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়েছিল জঙ্গল থেকে উদ্ধার হওয়া হাড়গোড়। সেই রিপোর্টই প্রকাশ্যে এল বৃহস্পতিবার। গত ১৮ মে শ্রদ্ধাকে গলা টিপে আফতাব খুন করেছিলেন বলে অভিযোগ। পরের ১৮ দিন ধরে একত্রবাসের সঙ্গী শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করেছিলেন আফতাব। এর পর আশপাশের জঙ্গলে ফেলে এসেছিলেন দেহের টুকরো।

Advertisement

এখন পর্যন্ত এই মামলায় কয়েকটি ছুরি উদ্ধার করেছে দিল্লি পুলিশ। তাদের অভিযোগ, ওই ছুরিগুলি দিয়েই শ্রদ্ধার দেহ টুকরো করেছিলেন আফতাব। জেরায় আফতাবের কিছু স্বীকারোক্তিও মিলেছে। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, সেগুলি যথেষ্ট প্রমাণ নয়। আফতাবকে লাই-ডিটেকশন পরীক্ষা হয়েছে। সেগুলি আদালতে আফতাবের বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসাবে পেশ করতে চলেছে পুলিশ। তবে ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টকে বড় প্রমাণ হিসাবে দেখছে পুলিশ।

গত অক্টোবরে মহারাষ্ট্র পুলিশের কাছে মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার কথা জানান শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ ওয়ালকর। মেয়ে ভিন‌্ ধর্মের ছেলেকে পছন্দ করেছিলেন বলে দীর্ঘকাল কোনও সম্পর্ক রাখেননি তিনি। বিকাশের অভিযোগের পর নড়েচড়ে বসে পুলিশ। শ্রদ্ধার মোবাইলের কললিস্ট দেখে পুলিশ জানতে পারে, তিনি দিল্লিতে ছিলেন। তদন্তে নামে দিল্লি পুলিশ। জানতে পারে, মুম্বইতে একটি কল সেন্টারে কাজ করার সময় ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখা হয় আফতাবের। চলতি বছর এপ্রিল নাগাদ দিল্লিতে চলে এসেছিলেন তাঁরা। সেখানে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন।

সম্প্রতি সাংবাদিক বৈঠক করে মহারাষ্ট্র পুলিশের দিকে আঙুল তুলেছেন শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ। জানিয়েছেন, আফতাবের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করে ২০২০ সালে থানায় গিয়েছিলেন শ্রদ্ধা। পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। মহারাষ্ট্র পুলিশ জানিয়েছে, শ্রদ্ধা পরে লিখিত ভাবে জানিয়েছিলেন যে, আফতাবের বিরুদ্ধে যাতে কোনও পদক্ষেপ না করে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement