Waqf Amendment Bill

ওয়াকফ বিলকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্ট যাবে ডিএমকে! হুঁশিয়ারি দিলেন স্ট্যালিন

বুধবার লোকসভায় ভোটাভুটিতে পাশ হয়েছে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল। বিলের পক্ষে ২৮৮ এবং বিপক্ষে ২৩২ জন সাংসদ ভোট দিয়েছেন। এই বিলের প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্ট্যালিন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:৫৫
এম কে স্ট্যালিন।

এম কে স্ট্যালিন। —ফাইল চিত্র।

লোকসভায় পাশ হওয়া ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিন। এই বিলের মাধ্যমে ‘সংবিধানের উপর আক্রমণ’ করা হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। এর মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা হয়েছে বলেও অভিযোগ ডিএমকে প্রধানের। বৃহস্পতিবার স্ট্যালিন জানিয়েছেন, এই বিলকে চ্যালেঞ্জ করে তাঁর দল সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে।

Advertisement

বুধবার লোকসভায় দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা হয় ওয়াকফ বিল নিয়ে। শেষে গভীর রাতে সংসদের নিম্নকক্ষে পাশ হয় ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল। বিলের পক্ষে ২৮৮ এবং বিপক্ষে ২৩২ জন সাংসদ ভোট দেন। বৃহস্পতিবার বিলটি রাজ্যসভায় পেশ হয়েছে। এই বিলের বিরোধিতায় আগেই তামিলনাড়ুর বিধানসভায় একটি প্রস্তাব পাশ করে ডিএমকের নেতৃত্বাধীন সরকার। বিলটি প্রত্যাহারের জন্য ওই প্রস্তাবে কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানানো হয়েছিল। বুধবার লোকসভাতেও বিরোধী সাংসদেরা বিলটির বিরোধিতায় সরব হন। শেষে ভোটাভুটির মাধ্যমে লোকসভায় বিলটি পাশ হয়েছে।

স্ট্যালিনের বক্তব্য, বিলটি লোকসভায় পাশ হলেও বিরোধিতার সংখ্যাও কম ছিল না। বিরোধী সাংসদদের বিলের বিপক্ষে এই মতামতকে হাতিয়ার করেই এ বার আদালতের দ্বারস্থ হতে চাইছেন ডিএমকে প্রধান। স্ট্যালিন বলেন, “গুটিকয়েক জোটসঙ্গীর সাহায্যে এই ভাবে বিলটি পাশ করিয়ে ভারতের সংবিধানের উপর আক্রমণ করা হয়েছে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা হয়েছে।” তিনি বলেছিলেন।

বস্তুত, বুধবার লোকসভায় এই বিলের বিরোধিতায় বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ দেখা গিয়েছে। কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি, এনসিপি (শরদ), ডিএমকে, আরজেডির পাশাপাশি সংশোধিত ওয়াকফ বিলের বিরোধিতা করেছে ‘একদা হিন্দুত্ববাদী’ উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনাও (ইউবিটি)। উদ্ধবসেনার সাংসদ অরবিন্দ সাবন্ত ওয়াকফ বোর্ডে দুই অমুসলিম সদস্য এবং ওয়াকফ ট্রাইব্যুনালে সিইও পদে আমলা নিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘‘সরকার কি মন্দির কমিটিতে অহিন্দুদের থাকার অনুমতি দেবে? কী কারণে তারা ওয়াকফ বোর্ডের কমিটিতে অমুসলিমদের স্থান দেওয়ার চেষ্টা করছে?’’

Advertisement
আরও পড়ুন