Mukhtar Ansari

হৃদ্‌রোগেই মৃত্যু গ্যাংস্টার তথা রাজনীতিক মুখতারের, ধীরে ধীরে বিষ প্রয়োগের তত্ত্ব ওড়াল জেলাশাসকের রিপোর্ট

জেলবন্দি মুখতার আনসারির মৃত্যুর কারণ নিয়ে সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের সচিবালয়ে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন বান্দার জেলাশাসক। সূত্রের খবর, ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণেই মৃত্যু হয়েছে আনসারির।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৫০
উত্তরপ্রদেশের গ্যাংস্টার তথা রাজনীতিক মুখতার আনসারি।

উত্তরপ্রদেশের গ্যাংস্টার তথা রাজনীতিক মুখতার আনসারি। —ফাইল চিত্র।

মার্চ মাসে উত্তরপ্রদেশের বান্দা জেলে বন্দি অবস্থায় মৃত্যু হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের গ্যাংস্টার তথা রাজনীতিক মুখতার আনসারির। জেল হেফাজতে তাঁর মৃত্যু নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছিল পরিবার। উঠে এসেছিল ধীরে ধীরে বিষ প্রয়োগ করে খুনের তত্ত্বও। বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন বান্দার জেলাশাসক। সূত্রের খবর ওই রিপোর্টে উঠে এসেছে, হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছিল আনসারির। ধীরে ধীরে বিষ প্রয়োগ করার তত্ত্ব উড়িয়েছে জেলাশাসকের জমা দেওয়া রিপোর্ট।

Advertisement

২০০৫ সাল থেকে উত্তরপ্রদেশ ও পঞ্জাবের একাধিক জেলে ছিলেন তিনি। ৬০টির উপর ফৌজদারি মামলা চলছিল তাঁর বিরুদ্ধে। গত মার্চে বান্দার এক হাসপাতালে মাউ সদর বিধানসভা কেন্দ্রের পাঁচ বারের বিধায়ক মুখতারের মৃত্যু হয়। প্রাথমিক ভাবে মৃত্যুর কারণ হিসাবে উল্লেখ ছিল, হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই তত্ত্ব মানতে রাজি ছিলেন না গ্যাংস্টার তথা রাজনীতিকের পরিবারের সদস্যেরা। তাঁদের সন্দেহ ছিল, ধীরে ধীরে বিষ প্রয়োগ করেই মেরে ফেলা হয়েছে মুখতারকে। দিল্লি এমসের ডাক্তারদের উপস্থিতিতে পুনরায় ময়নাতদন্ত এবং মৃত্যুর কারণ খুঁজতে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের দাবি তুলেছিলেন তিনি।

পরিবারের তরফে এই অভিযোগ উঠে আসার পর বান্দার জেলাশাসক একটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, সেই তদন্তের রিপোর্টেও উঠে এসেছে জেলে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন মুখতার এবং সেই কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। সূত্র মারফত আরও জানা যাচ্ছে, ফরেন্সিক পরীক্ষায় কোনও বিষক্রিয়া পাওয়া যায়নি। উত্তরপ্রদেশ সরকারের সচিবালয়ে ইতিমধ্যে সেই রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছেন জেলাশাসক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement