VK Saxena

১৪০০ কোটির নিষিদ্ধ নোট বদলেছেন দিল্লির উপরাজ্যপাল, অভিযোগ আপের, মামলার হুমকি সাক্সেনার

উপরাজ্যপালের দাবি, অরবিন্দ কেজরীবালের দলের নেতা-নেত্রীরা তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির ভুয়ো এবং মানহানিকর অভিযোগ করেছেন। তাঁদের স্বভাবই হল কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করে পিছিয়ে আসা।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২২ ১৯:৫২
দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা।

দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা। ছবি: সংগৃহীত।

আম আদমি পার্টির নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করার হুমকি দিলেন দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা। উপরাজ্যপালের দাবি, অরবিন্দ কেজরীবালের দলের নেতা-নেত্রীরা তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির ভুয়ো এবং মানহানিকর অভিযোগ করেছেন। তাঁদের স্বভাবই হল কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করে পিছিয়ে আসা। এর পর তাঁদের সত্য প্রকাশের জন্য বলা হলে ক্ষমা চাওয়া। উপরাজ্যপালের অফিস থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে মামলা রুজুর করার কথা জানানো হয়েছে।

আপের অভিযোগ, ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের আওতাধীন সংস্থা খাদি অ্যান্ড ভিলেজ ইন্ডাস্ট্রিজ কমিশনের চেয়ারম্যান পদে থাকাকালীন নিজের ১,৪০০ কোটি নিষিদ্ধ ব্যাঙ্কনোট বদল করেছেন সাক্সেনা। যদিও সে বছরের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৫০০ এবং ১,০০০ টাকার নোট বাতিল বলে ঘোষণা করেছিলেন। উপরাজ্যপালের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছে আপ বিধায়ক অতীশী, সৌরভ ভরদ্বাজ, দুর্গেশ পাঠকেরা। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করার কথা জানিয়েছে উপরাজ্যপালের অফিস।

Advertisement

বুধবার একটি বিবৃতিতে আপ নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে উপরাজ্যপালের অফিসের পাল্টা অভিযোগ, ‘অরবিন্দ কেজরীবাল এবং কোম্পানির এটাই আসল পরিচয়। কারও বিরুদ্ধে তোপ দেগে চম্পট দেওয়া। এবং সত্যপ্রকাশের কথা বলা হলে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া।’ আপ নেতাদের অভিযোগগুলিকে ওই বিবৃতিতে ‘ভুয়ো এবং মানহানিকর’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

আপ বিধায়কেরা ছাড়াও রাজধানী এবং তার আশপাশের এলাকার নীতি নির্ধারক সংস্থা ডায়ালগ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কমিশন অব দিল্লির ভাইস চেয়ারপার্সন জ্যাসমিন শাহের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন উপরাজ্যপালের অফিসের আধিকারিকেরা।

প্রসঙ্গত, সোমবার আপ বিধায়ক দুর্গেশ পাঠকের অভিযোগ ছিল, খাদির হিসাবরক্ষককে চাপ দিয়ে নিজের কোটি কোটি পুরনো ব্যাঙ্কনোট বদল করিয়েছিলেন সাক্সেনা। তবে আরও দু’জন হিসাবরক্ষক এই কেলেঙ্কারি ফাঁস করে দেন। দুর্গেশের দাবি, ‘‘ওই কেলেঙ্কারির অভিযোগের তদন্ত করে হিসাবরক্ষকদের সাসপেন্ড করেছিলেন ভিকে সাক্সেনা। নিজের উপর থেকে অভিযোগ তিনি এমন ভাবে ঝেড়ে ফেলেছিলেন যে সিবিআই কখনও তাঁর নাম অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেনি।’’ যদিও মঙ্গলবার সিবিআই জানিয়েছিল, ওই অভিযোগের তদন্তে দেখা গিয়েছে যে সঞ্জীব মালিক এবং প্রদীপকুমার যাদব নামে দুই হিসাবরক্ষক ১৭ লক্ষ টাকার বাতিল নোট বদল করেছিলেন। এবং তাঁদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে চার্জশিট পেশ করা হয়েছিল। সিবিআইয়ের এফআইআরে আরও দাবি করা হয়েছিল, মালিক এবং যাদব অসৎ উপায়ে নতুন নোটের সঙ্গে ওই পুরনো নোট বদল করেছিলেন। এবং সে জন্য তাঁরা আর্থিক সুবিধাও পেয়েছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement