ছবি: রয়টার্স
প্রয়োজনের তুলনায় বেশি অক্সিজেন চাওয়ার অভিযোগ দিল্লি সরকারের বিরুদ্ধে। সুপ্রিম কোর্টের গঠন করা অক্সিজেন অডিট কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে যা প্রয়োজন তার চেয়ে চারগুণ বেশি অক্সিজেন চেয়েছিল দিল্লি সরকার। চলতি বছরের এপ্রিল-মে মাসে, দিল্লির একাধিক হাসপাতালে অক্সিজেনের হাহাকার পড়ে। অক্সিজেনের অভাবে কয়েকটি হাসপাতালে কোভিড আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুও হয়। যা নিয়ে বাগ্যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে দিল্লি সরকার ও কেন্দ্র।
Delhi government exaggerated the oxygen requirement for the city by more than four times between April 25 & May 10. Supply of excess oxygen to Delhi could have triggered a crisis in its supply to 12 high caseload states, as per the report
— ANI (@ANI) June 25, 2021
4 hospitals-Singhal Hospital, Aruna Asif Ali Hospital, ESIC Model Hospital & Liferay Hospital had claimed "extremely high oxygen consumption with few beds & claims appeared to be erroneous, leading to extremely skewed info & significantly higher oxygen requirement", stated report
— ANI (@ANI) June 25, 2021
দিল্লি হাইকোর্টের হস্তক্ষেপের পরই কেন্দ্রীয় সরকার দিল্লির অক্সিজেন বরাদ্দ বাড়িয়ে দেয়। এটা করতে গিয়ে অন্য রাজ্যগুলির বরাদ্দ কমাতে হয়েছিল। অডিট কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, সেই সময় দিল্লিতে দৈনিক প্রায় ৩০০ মেট্রিক টন অক্সিজেনের প্রয়োজন ছিল, তবে দিল্লি সরকার চাহিদা বাড়িয়ে ১২০০ মেট্রিক টন করেছিল। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, দিল্লির অতিরিক্ত চাহিদার কারণে অন্য ১২টি রাজ্যে অক্সিজেনের মারাত্মক ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। রিপোর্টে এ কথা বলা হলেও সে সময় দিল্লি সরকার অবশ্য বলেছিল, স্বাভাবিক অবস্থায় দিল্লিতে দৈনিক প্রায় ৩০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। দ্বিতীয় তরঙ্গে তা বাড়তে বাড়তে ৭০০ মেট্রিক টন ছাড়ায়। তারা এ নিয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন করে। শীর্ষ আদালত ওই পরিমান অক্সিজেন দিতে নির্দেশও দেয়। এক সময়ে তারা আরও বেশি, অর্থাৎ দৈনিক প্রায় ১২০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন দাবি করে।
দেশে মেডিক্যাল অক্সিজেনের জোগান ও বিতরণের বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য ১২ সদস্যের জাতীয় টাস্ক ফোর্স গঠন করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এই টাস্ক ফোর্সের নেতৃত্বে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ভবতোষ বিশ্বাস। অক্সিজেন টাস্ক ফোর্স তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, ১৩ মে দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেন পরিবহনকারী ট্যাঙ্কার খালি করা যায়নি কারণ, হাসপাতালগুলোর অক্সিজেন ট্যাঙ্ক ৭৫ শতাংশের বেশি ভর্তি ছিল। এছা়ড়াও, এলএনজেপি হাসপাতাল এবং এমস-এর মতো সরকারি হাসপাতালেও ট্যাঙ্ক ভর্তি ছিল।
টাস্ক ফোর্স বলেছে, কয়েকটি হাসপাতাল ভুল তথ্য দেওয়ার কারণে ২৯ এপ্রিল থেকে ১০ মে এর মধ্যে দিল্লিতে অক্সিজেনের বরাদ্দ বাড়াতে হয়েছিল। প্রথমে দিল্লি সরকার দেখিয়েছিল, তাদের মোট চাহিদা ১১৪০ মেট্রিক টন। ভুল সংশোধন করার পরে অক্সিজেনের চাহিদা ২০৯ মেট্রিক টনে নেমে আসে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।