Dalit man's face smeared with human excreta

ছুঁয়ে ফেলার ‘অপরাধে’ দলিত শ্রমিকের মুখে মল মাখানো হল মধ্যপ্রদেশে! আটক অভিযুক্ত ব্যক্তি

নির্মাণ শ্রমিক দশরথ আহিরওয়ার কাজ করতে করতেই পাশের নদীতে স্নানরত রামকৃপাল পটেলের সঙ্গে ঠাট্টা করছিলেন। সেই সময় দশরথের গ্রিজ মাখা হাত ছুঁয়ে যায় রামকৃপালের শরীর। তার পর এই ঘটনা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
ভোপাল শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৩ ১০:২৯
representational image

— প্রতীকী ছবি।

প্রস্রাবকাণ্ডের পর এ বার দলিত সম্প্রদায়ভুক্ত এক ব্যক্তির মুখে মানুষের মলমূত্র মাখানোর অভিযোগ। এ বার ঘটনাস্থল মধ্যপ্রদেশের ছতরপুর। দশরথ আহিরওয়ারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত রামকৃপাল পটেলকে আটক করা হয়েছে।

শুক্রবার, ছতরপুর জেলা সদর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে বিকাউরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নালা তৈরির কাজ করছিলেন দশরথ। পুলিশ জানিয়েছে, কাজ করতে করতেই দশরথ ও তাঁর সহকর্মীরা পাশেই স্নানরত রামকৃপালের সঙ্গে ঠাট্টা মসকরা করছিলেন। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘ওঁরা নিজেদের মধ্যে ঠাট্টা করছিলেন। সেই সময় খেলাচ্ছলে দশরথ হাতে গ্রিজ লাগিয়ে ছুঁয়ে দেন রামকৃপালকে। তার পরে রামকৃপাল মানুষের মলমূত্র তুলে দশরথের পিঠ লক্ষ্য করে ছুড়ে মারেন।’’

Advertisement

দশরথ বলছেন, ‘‘আমার হাতে গ্রিজ লেগেছিল। ভুলবশত সেই হাত রামকৃপালের গায়ে লেগে যায়। এর পর যে মগ দিয়ে রামকৃপাল স্নান করছিলেন, সেই মগে পাশেই পড়ে থাকা মানুষের মলমূত্র তুলে নিয়ে এসে আমার শরীরে মাখিয়ে দেন। এমনকি আমার মাথা এবং মুখেও মাখিয়ে দেওয়া হয়। আমি পর দিন এফআইআর করি।’’

দশরথের আরও দাবি, শুক্রবার তিনি বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েতে নালিশ জানাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু উল্টে পঞ্চায়েতই তাঁর উপর ৬০০ টাকা জরিমানা ধার্য করে।

পুলিশ দশরথের অভিযোগের ভিত্তিতে রামকৃপালকে আটক করে তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতি আইনের পাশাপাশি একাধিক অন্য ধারায় মামলা রুজু করেছে। যদিও পঞ্চায়েতের তরফ থেকে দশরথের উপর জরিমানা ধার্য করার বিষয়টি গোচরে নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মধ্যপ্রদেশে দলিতদের উপর অত্যাচারের ঘটনা লাগাতার চলছে। ক’দিন আগেই রাজ্যের সিধি জেলায় এক বিজেপি কর্মীকে দেখা যায় এক দলিত যুবকের গায়ে প্রস্রাব করতে। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই ঘটনার নিন্দা করা হয় সব মহলে। শেষ পর্যন্ত চাপের মুখে নড়েচড়ে বসে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি শাসিত সরকার। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে। পরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান নিজের হাতে ওই দলিত ব্যক্তির পা ধুইয়ে দেন। যদিও ভোটমুখী রাজ্যে এ ভাবে ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ হল কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিজেপির অন্দরেই। সেই ঘটনার রেশ মিটতে না মিটতেই আবার মধ্যপ্রদেশে অত্যাচারের মুখে দলিত সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি।

Advertisement
আরও পড়ুন