গাড়িটি ঘণ্টায় প্রায় ৮৯ কিলোমিটার বেগে ব্রিজের রেলিংয়ে গিয়ে ধাক্কা মারে। ফাইল চিত্র ।
দুর্ঘটনার আগে প্রায় ১০০ কিলোমিটার বেগে চলছিল টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রি এবং পান্ডোলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যাওয়া মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়িটি। পুলিশের কাছে জমা দেওয়া একটি রিপোর্টে এমনটাই জানিয়েছে ওই গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা। মার্সিডিজের তরফ থেকে একটি দল পালঘরের চারোটি ব্রিজের কাছে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখে। এর পরই পুলিশের কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় সংস্থার পক্ষ থেকে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্বয়ংক্রিয় মার্সিডিজ গাড়িটি দুর্ঘটনার আগে পর্যন্ত প্রায় ১০০ কিলোমিটার বেগে চলছিল। সূর্য নদীর উপর পুরনো সেতুর রেলিংয়ে ধাক্কা খাওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে অনাহিতা পান্ডোলে গাড়ির ব্রেক কষেন এবং গাড়িটি ঘণ্টায় প্রায় ৮৯ কিলোমিটার বেগে ব্রিজের রেলিংয়ে গিয়ে ধাক্কা মারে।
এই রিপোর্টে অনুযায়ী, গাড়ির পিছনের সিটে বসা সাইরাস এবং জহাঙ্গীর সিট বেল্ট পরেননি। দুর্ঘটনার সময় তাঁদের মাথা সামনের সিটে গিয়ে ধাক্কা খায় এবং দু’জনেই গুরুতর আঘাত পান।
বিশদে পরীক্ষা করার জন্য গাড়িটিকে শীঘ্রই মুম্বইয়ের একটি ওয়ার্কশপে নিয়ে যাওয়া হবে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গাড়িটি এখন পুলিশের হেফাজতে আছে। আদালতের অনুমতি পাওয়া গেলেই গাড়ির ধ্বংসাবশেষ ওয়ার্কশপে নিয়ে যাওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ৪ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুর সওয়া ৩টে নাগাদ নাগাদ মুম্বই থেকে ১৩৫ কিলোমিটার দূরে পালঘরের চারোটি এলাকায় সূর্য নদীর সেতুর উপর থাকা ডিভাইডারে ধাক্কা মারে সাইরাসদের গাড়ি। ঘটনাস্থল থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় সাইরাসকে। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৪। সাইরাসের সঙ্গে এই গাড়িতে জাহাঙ্গীর ছাড়াও ছিলেন সাইরাসের বন্ধু দারিয়াস পান্ডোলে এবং তাঁর স্ত্রী অনাহিতা। এঁরা সকলেই একটি মার্সিডিজ গাড়িতে গুজরাতের আমদাবাদ থেকে মুম্বইয়ে ফিরছিলেন। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন অনাহিতা।