Criminal Case

মরাঠা মুলুকে ‘বাহুবলী’ নেতা সর্বাধিক, সাংসদ, বিধায়কদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা বাড়ছে

রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের সাংসদ, বিধায়কদের বিরুদ্ধে ঝুলে থাকা অপরাধ মামলার সংখ্যা ৪৮২। দেশে হাই কোর্টের সংখ্যা ২৫। তার মধ্যে ৯টি হাই কোর্টের কোনও পরিসংখ্যান নেই।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২২ ১৯:১৬
মহারাষ্ট্রের সাংসদ, বিধায়কদের বিরুদ্ধে ঝুলে থাকা অপরাধ মামলার সংখ্যা ৪৮২।

মহারাষ্ট্রের সাংসদ, বিধায়কদের বিরুদ্ধে ঝুলে থাকা অপরাধ মামলার সংখ্যা ৪৮২। গ্রাফিক্স: শৌভিক দেবনাথ।

দ্রুত শুনানির ব্যবস্থা থাকলেও দেশে সাংসদ এবং বিধায়কদের বিরুদ্ধে ঝুলে থাকা অপরাধ মামলার সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত ২০২১-২২ সালের একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন আদালত বান্ধব (অ্যামিকাস কিউরি) আইনজীবী বিজয় হনসারিয়া। তাতেই এই তথ্য উঠে এসেছে। দেখা গিয়েছে, সাংসদ, বিধায়কদের বিরুদ্ধে ঝুলে থাকা অপরাধের মামলার সংখ্যা সব থেকে বেশি মহারাষ্ট্রে।

রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের সাংসদ, বিধায়কদের বিরুদ্ধে ঝুলে থাকা অপরাধ মামলার সংখ্যা ৪৮২। দেশে হাই কোর্টের সংখ্যা ২৫। তার মধ্যে ৯টি হাই কোর্টের কোনও পরিসংখ্যান নেই। তালিকায় রয়েছে এলাহাবাদ এবং পটনা হাই কোর্টও, যারা কোনও পরিসংখ্যান দেয়নি। অথচ গত কয়েক বছর ধরে উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারে সাংসদ, বিধায়কদের বিরুদ্ধে অপরাধের মামলা ক্রমেই বাড়ছে।

Advertisement

সাংসদ, বিধায়কদের বিরুদ্ধে ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ঝুলে রয়েছে, এমন অপরাধের মামলার সংখ্যা সব থেকে বেশি ওড়িশায়। ওই রাজ্যে সাংসদ, বিধায়কদের বিরুদ্ধে ৪৫৪টি অপরাধের মামলার মধ্যে ৩২৩টিই ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ঝুলে রয়েছে। সাংসদ, বিধায়কদের বিরুদ্ধে মামলার দ্রুত শুনানির জন্য ওড়িশায় ১৪টি আদালত তৈরি হয়েছে। তার পরেও নিষ্পত্তি হয়নি সে সব মামলা।

দেশের ষোলোটি হাই কোর্ট যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, ২০২২ সালের ১২ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে সাংসদ এবং বিধায়কদের বিরুদ্ধে ঝুলে থাকা অপরাধের মামলার সংখ্যা ৩,০৬৯। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে দেখা গিয়েছে, সাংসদ, বিধায়কদের বিরুদ্ধে ঝুলে থাকা অপরাধের মামলার সংখ্যা ৪,১২২। তার মধ্যে সাংসদদের বিরুদ্ধে অপরাধের মামলা রয়েছে ১,৬৭৫। বিধায়কের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ২,৩২৪।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে দেশে সাংসদ, বিধায়কদের বিরুদ্ধে ঝুলে থাকা মামলার সংখ্যা ছিল ৪,৯৮৪। তার মধ্যে ১,৮৯৯টি পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছিল। ২০২২ সালের নভেম্বরে দেখা গিয়েছে, সাংসদ, বিধায়কদের বিরুদ্ধে ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে, এমন মামলার সংখ্যা ৯৬২।

২০২১-২২ সালের রিপোর্ট বলছে, দেশে এখন ৫১ জন সাংসদের বিরুদ্ধে ইডির মামলা চলছে। ৭১ জন বিধায়ক, বিধান পারিষদের বিরুদ্ধে ইডির মামলা চলছে। সাংসদ, বিধায়কদের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের মামলার সংখ্যা ১২১। ৫১ জন সাংসদ এবং ১১২ জন বিধায়ক ওই সব মামলার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের মধ্যে ৫৮টি মামলায় দোষ প্রমাণিত হলে অপরাধী যাবজ্জীবন পাবেন। দু’জন সাংসদ এবং বিধায়কের বিরুদ্ধে চারটি অপরাধের মামলা রয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র।

এই প্রসঙ্গে অ্যামিকাস কিউরি বিজয় সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। ঝুলে থাকা এই অপরাধের মামলা শুনানিতে যাতে আর স্থগিতাদেশ না দেওয়া হয়, সুপ্রিম কোর্টের কাছে সেই আবেদনও করেছেন তিনি। বিশেষ আদালতে মামলার দ্রুত শুনানির জন্য দু’জন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগের নির্দেশ দিক সুপ্রিম কোর্ট, সেই সুপারিশও করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন
Advertisement