Congress

ইডি-র দফতরের সামনে সিদ্ধান্ত বিক্ষোভের

জেপিসি-র দাবি বা মাধবীর ইস্তফার দাবির সঙ্গে সরাসরি ইডি-র যোগাযোগ না থাকলেও কংগ্রেস সূত্র বলছে, চলতি মাসে রাহুল গান্ধীকে ফের ইডি সমন পাঠাতে পারে বলে জল্পনার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২৪ ০৯:০৯

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আদানি কাণ্ডে যৌথ সংসদীয় কমিটির (জেপিসি) তদন্তের দাবি এবং সেবি-র কর্ণধারের পদ থেকে মাধবী পুরী বুচের ইস্তফার দাবিতে কংগ্রেস ২২ অগস্ট দেশ জুড়ে ইডি-র দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাবে। আজ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের সঙ্গে সমস্ত রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

Advertisement

জেপিসি-র দাবি বা মাধবীর ইস্তফার দাবির সঙ্গে সরাসরি ইডি-র যোগাযোগ না থাকলেও কংগ্রেস সূত্র বলছে, চলতি মাসে রাহুল গান্ধীকে ফের ইডি সমন পাঠাতে পারে বলে জল্পনার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত। আজ রাহুল জানিয়েছেন, আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার দরে কারচুপির অভিযোগের সঙ্গে সেবি-র কর্ণধার মাধবী পুরী বুচের নাম জড়িয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি নিজে শীঘ্রই সাংবাদিক সম্মেলন করবেন।

চলতি বছরের শেষে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি-বিরোধী আবহ তৈরি করতে আদানি-কাণ্ডকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি নতুন করে জাতগণনার দাবি ও সংবিধানের সুরক্ষা নিয়েও কংগ্রেস প্রচারে নামবে বলে ঠিক হয়েছে। কারণ, তিনটি রাজ্যেই জাতপাত, আদিবাসী ভোটের অঙ্কে কংগ্রেস ফায়দা তুলে চায়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট যে সম্প্রতি তফসিলি জাতি, জনজাতির মধ্যে পশ্চাৎপদদের জন্য বিশেষ সংরক্ষণের পক্ষে রায় দিয়েছে, তা নিয়ে কংগ্রেস এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। কারণ, দলের মধ্যেই দু’রকম মত রয়েছে। তেলঙ্গানার কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি ‘কোটার মধ্যে কোটা’-র পক্ষে। কিন্তু হরিয়ানা-সহ উত্তর ভারতের রাজ্যের নেতারা এর পক্ষে নন। কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ মেনে নিয়েছেন, এ নিয়ে দলে বিভিন্ন মত রয়েছে। তাই একটি কমিটি তৈরি রয়েছে। এই কমিটি সব রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে
সিদ্ধান্ত নেবে।

বিজেপি-বিরোধী আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিলেও কংগ্রেসের সাংগঠনিক জটিলতা এখনও মেটেনি। পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্তত ছয় থেকে সাতটি রাজ্যে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বদল, রাজ্যের পর্যবেক্ষক রদবদল, এআইসিসি-র সচিব নিয়োগের
সিদ্ধান্ত কংগ্রেস সভাপতির টেবিলে ঝুলে রয়েছে।

আজ বৈঠকে মল্লিকার্জুন খড়্গে, রাহুল গান্ধীর সামনেই ভোটমুখী হরিয়ানার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি উদয়ভানের সঙ্গে হরিয়ানার আর এক নেত্রী কুমারী শৈলজার তর্কাতর্কি হয়। ভূপিন্দর সিংহ হুডার অনুগামী উদয়ভানের বিরুদ্ধে শৈলজা গোষ্ঠী রাজনীতির অভিযোগ তোলেন। তার পরে এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কে সি বেণুগোপাল উদয়ভানকে নিজের ঘরে ডেকে
সতর্ক করেন।

আরও পড়ুন
Advertisement