বিরোধী বৈঠকে (বাঁ দিক থেকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সনিয়া গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খড়্গে। ছবি— পিটিআই।
২৬টি বিজেপি-বিরোধী দলের বেঙ্গালুরু-বৈঠক চলছে। সূত্রের খবর, বৈঠকে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে জানিয়ে দিয়েছেন, কংগ্রেস ক্ষমতা বা প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য লালায়িত নয়। বরং সংবিধান, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র এবং সামাজিক ন্যায়কে রক্ষা করাই দেশের প্রধান বিরোধী দলের লক্ষ্য বলে তিনি জানিয়েছেন।
বেলা ১২টা থেকে বেঙ্গালুরুর হোটেলে শুরু হয়েছে বিজেপি বিরোধী দলগুলির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। সূত্রের খবর, বৈঠকে কংগ্রেস সভাপতি জানিয়েছেন, বৈঠকে উপস্থিত কয়েকটি দলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ মতানৈক্য রয়েছে। যদিও কংগ্রেস সভাপতি সেই মতের ফারাককে আদর্শগত বলে মনে করেন না। তিনি জানান, এই মতভেদগুলি এতটাও বড় নয় যে, সেগুলিকে পিছনে ফেলে সাধারণ মানুষ এবং মধ্যবিত্ত, যুব সম্প্রদায়, প্রান্তিক, দলিত, আদিবাসী এবং সংখ্যালঘুদের সমস্যাকে প্রকাশ্যে রেখে লড়াই করা যাবে না। পর্দার নেপথ্যে এই অংশের মানুষের অধিকার হনন করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন খড়্গে।
কংগ্রেস যে প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার নয়, তা এ দিন ফের স্পষ্ট করেন সভাপতি খড়্গে। সূত্রের খবর, তিনি বলেন, ‘‘চেন্নাইয়ে এমকে স্ট্যালিনের জন্মদিনের অনুষ্ঠানেও আমি বলেছিলাম যে, কংগ্রেস ক্ষমতা বা প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য উৎসুক নয়। আমাদের লক্ষ্য, দেশের সংবিধান, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র এবং সামাজিক ন্যায়কে সুপ্রতিষ্ঠিত করা।’’
At the joint Opposition meeting in Bengaluru, Congress President Mallikarjun Kharge said - We are aware that at the state level, there are differences between some of us. These differences are not ideological. These differences are not so big that we cannot put them behind us for… pic.twitter.com/sCKTAGO0Cc
— ANI (@ANI) July 18, 2023
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, বৈঠকে খড়্গে বলেন, ‘‘আমরা মোট ২৬টি দল এখানে উপস্থিত হয়েছি। সম্মিলিত ভাবে আমরা ১১টি রাজ্যে সরকার চালাচ্ছি। বিজেপি ৩০৩টি আসন একা পায়নি। ওরা জোটসঙ্গীদের ভোট ব্যবহার করে ক্ষমতায় এসে তাদেরই বাতিল করে দিয়েছে। আর আজ, বিজেপি সভাপতি এবং নেতারা রাজ্যে রাজ্যে দৌড়ে পুরনো সঙ্গীদের মানভঞ্জনে উদ্যত হয়েছেন।’’ বৈঠকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ‘অপব্যবহার’ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন খড়্গে। তিনি বলেন, ‘‘প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ কাজে সিবিআই, ইডি, আয়কর দফতরকে নিয়মিত ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আইনি মারপ্যাঁচে ফাঁসানোর জন্য আমাদের নেতাদের বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলা করা হচ্ছে। সাংসদ, বিধায়কদের বরখাস্ত করতে এবং তাঁদের ব্ল্যাকমেল করে বা ঘুষ দিয়ে বিজেপিতে টেনে এনে সরকার ফেলে দিতে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে।’’