আইনমন্ত্রীর পদ থেকে কিরেন রিজিজুর অপসারণের পরেই সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি নিয়োগে দ্রুত ছাড়পত্র দিল কেন্দ্র। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
প্রয়োজনের তুলনায় বিচারপতির সংখ্যা কম। তাই তাঁদের উপরে কাজের চাপ বেশি। এই পরিস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদীর সরকার সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের সুপারিশ মেনে বিচারপতি নিয়োগে ছাড়পত্র দিতে দেরি করছে বলে বেশ কয়েক বছর ধরেই অভিযোগ উঠছিল। একদা প্রধান বিচারপতি টিএস ঠাকুর এ নিয়ে প্রকাশ্যে দুষেছিলেন কেন্দ্রকে।
এ বার সেই অভিযোগ ভুল প্রমাণিত করে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের সুপারিশ দ্রুত কার্যকর করল কেন্দ্র। ঘটনাচক্রে, মোদীর মন্ত্রিসভার আইনমন্ত্রীর পদ থেকে কিরেন রিজিজুর বিদায়ের পরের দিনই! কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার পরামর্শ মেনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে অন্ধ্রপ্রদেশ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্র এবং প্রবীণ আইনজীবী কেভি বিশ্বনাথনের নামে ছাড়পত্র দেন। এর পর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় শুক্রবার দুপুরেই তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান।
চলতি সপ্তাহেই প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন কলেজিয়াম কেন্দ্রের কাছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে ওই দু’জনের নাম সুপারিশ করেছিল। কার্যত নজিরবিহীন তৎপরতায় তাঁদের নিয়োগে ছাড়পত্র দিয়েছে মোদী সরকার। এর আগে গত কয়েক বছর ধরেই বিচারপতি পদে সুপারিশ করা নাম নিয়ে কেন্দ্রের টালবাহানায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তার উপরে সদ্য অপসারিত কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রিজিজু বিচারপতি নিয়োগের কলেজিয়াম ব্যবস্থার ‘স্বচ্ছতা’ নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তাঁকে ভর্ৎসনা করেছে শীর্ষ আদালত।
এই পরিস্থিতিতে কলেজিয়ামের সুপারিশ মানা নিয়ে মোদী সরকার টালবাহানা করে কি না, তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছিল। বৃহস্পতিবার আইনমন্ত্রী রিজিজু এবং আইন প্রতিমন্ত্রী এসপি সিংহ বঘেলকে সরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। রাজস্থানের বিজেপি সাংসদ অর্জুন রাম মেঘওয়ালকে আইন মন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাধীন প্রতিমন্ত্রী করা হয়। তার পরেই দেখা গেল এই ‘সক্রিয়তা’।