প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জড়িয়ে ধরলেন পরবর্তী প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নাকে। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।
মঞ্চে দুই বিচারপতি। প্রথম জন দেশের বিদায়ী প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। দ্বিতীয় জন দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না। জড়িয়ে ধরলেন একে অপরকে। সেই আলিঙ্গনের দৃশ্য ফটাফট ক্যামেরাবন্দি করে ফেললেন উপস্থিত সকলে। হয়তো এমন মুহূর্ত আর মিলবে না।
২০২২ সালের নভেম্বর মাসেই প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন চন্দ্রচূড়। দু’বছর সেই দায়িত্ব সামলেছেন। আগামী ১০ নভেম্বর অবসর নেবেন তিনি। শুক্রবার তাঁর বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে যেমন উপস্থিত ছিলেন আইনজীবীরা, তেমনই এসেছিলেন অন্য বিচারপতিরাও। সেই মঞ্চেই চন্দ্রচূড় দেশের প্রধান বিচারপতির ‘মশাল’ বিচারপতি খন্নার হাতে তুলে দেন। আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন সকলেই।
প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের মুখে শোনা গেল বিচারপতি খন্নার ভূয়সী প্রশংসা। তাঁর হাতে বিচারব্যবস্থা সুরক্ষিত বলে মনে করেন প্রধান বিচারপতি। শুধু তা-ই নয়, তাঁকে যোগ্য নেতা বলেও অভিহিত করেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। অন্য দিকে, প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের এজলাসে কখনও উপস্থিত থাকতে না পারার আক্ষেপ শোনা গেল পরবর্তী প্রধান বিচারপতি খন্নার গলাতেও। সেই সঙ্গে চন্দ্রচূড়ের ‘বয়স’ নিয়েই কিছুটা মজা করলেন তিনি। বিচারপতি খন্না বলেন, ‘‘ওঁর (প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়) যৌবন শুধু এখানে নয়, বিদেশেও চর্চিত। অস্ট্রেলিয়াতে আমার কাছে অনেকে জানতে চেয়েছিলেন, ওঁর বয়স কত?’’ বিচারপতি খন্নার কথা শুনে হাসির রোল ওঠে অনুষ্ঠানে। হেসে ফেলেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ও!
বিচারপতি খন্না, বিদায়ী প্রধান বিচারপতির উদ্দেশে আরও বলেন, ‘‘উনি আমার কাজ যেমন সহজ করেছেন, তেমন কঠিনও করেছেন। সহজ কারণ উনি বিপ্লবের সূচনা করেছিলেন। আর কঠিন কারণ আমি কখনও তাঁর কাছে পৌঁছতে পারব না। আমি ওঁর খুব অভাববোধ করব।’’
১১ নভেম্বর থেকে প্রধান বিচারপতি হিসাবে কাজ শুরু করবেন খন্না। তবে প্রধান বিচারপতি হিসাবে তাঁর মেয়াদ মাত্র ছ’মাস। আগামী বছর ১৩ মে অবসর নেবেন তিনি। অনেকেই তাকিয়ে এই মেয়াদকালে কী কী গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেন খন্না।