তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ে কবিতার নিরীক্ষককে গ্রেফতার করল সিবিআই। — ফাইল ছবি।
দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় এ বার গ্রেফতারি তেলঙ্গানা থেকে। সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হলেন বুচি বাবু নামে এক নিরীক্ষক। ঘটনাচক্রে, বুচি তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কন্যা কে কবিতার প্রাক্তন নিরীক্ষক। তাই এই গ্রেফতারিকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
সিবিআইয়ের দাবি, আবগারি দুর্নীতির মামলায় বুচির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তদন্তকারী সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, বর্তমানে বাতিল দিল্লি আবগারি নীতির মধ্যে দিয়ে হায়দরাবাদস্থিত ব্যবসায়ীদের বেআইনি ভাবে লাভ করিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে বুচির ভূমিকা রয়েছে। কী ভাবে এই কাজ চলত, এ বার বুচিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তা জানার চেষ্টা করবে সিবিআই। সিবিআই সূত্রের খবর, বুচিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হায়দরাবাদ থেকে দিল্লি ডেকে পাঠানো হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে দিল্লিতেই গ্রেফতার করা হয়।
তবে শুধু কবিতার প্রাক্তন নিরীক্ষকই নন, সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়েছেন কবিতা নিজেও। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর হায়দরাবাদের বানজারা হিলসের বাংলোতে গিয়ে কেসিআর-কন্যাকে ৭ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। এই প্রেক্ষিতেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছিল ভারত রাষ্ট্র সমিতি (তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির নতুন নাম ভারত রাষ্ট্র সমিতি বা বিআরএস)। কবিতা নিজে মোদীকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘‘ভোটমুখী রাজ্যে মোদীর আগে ইডি পৌঁছয়।’’ যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, তদন্তকারীরা রাজনীতির মধ্যে নেই। তথ্য, প্রমাণ ধরেই জিজ্ঞাসাবাদ এবং গ্রেফতার করা হয়।
ইডির অভিযোগ, কবিতা আসলে ‘সাউথ কার্টেল’-এর অংশ। যাঁরা দিল্লির নয়া আবগারি নীতি থেকে লাভবান হয়েছেন। যদিও এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও প্রমাণ তদন্তকারীরা সত্যিই পেয়েছেন কি না তা নিয়ে দলের অন্দরেই সন্দেহ আছে।
গত বছরই বিতর্কিত এই আবগারি নীতি বাতিল করার কথা ঘোষণা করে দিল্লির আপ সরকার। তার আগেই এ নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা। এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসাবে নাম আছে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়ার। আপ অবশ্য শুরু থেকেই একে বিজেপির ষড়যন্ত্র হিসাবে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। আপের দাবি, বিরোধীদের দমন করতে এ রকম মনগড়া সব অভিযোগ নিয়ে নেতৃত্বকে হেনস্থা করার পরিকল্পনা নিয়েছে মোদী-শাহের বিজেপি।