Delhi Wedding

বিয়ে করতে এসে ‘অশ্লীল’ গানে কোমর দোলালেন বর, শুনে বিয়েই ভেঙে দিলেন কনের বাবা!

দিল্লিতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় হিন্দি গান বাজানো হয়েছিল। তার তালে তালে নেচে উঠেছিলেন বরও। তার পরেই কনের বাবা বিয়ে ভেঙে দেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:২১
দিল্লিতে ‘অশ্লীল’ গানে বরের নাচ দেখে বিয়ে ভেঙে দিয়েছেন কনের বাবা।

দিল্লিতে ‘অশ্লীল’ গানে বরের নাচ দেখে বিয়ে ভেঙে দিয়েছেন কনের বাবা। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

বিয়ে করতে এসে বিখ্যাত হিন্দি গানে কোমর দুলিয়েছিলেন বর। কিন্তু বুঝতে পারেননি, সেই গানই তাঁর কাল হবে। গানের জন্যে বিয়ে ভেঙে দিলেন কনের বাবা। কনেকে নিয়ে আসর ছেড়ে উঠে চলেও গেলেন তিনি। অনেক বোঝানোর পরেও লাভ হল না।

Advertisement

ঘটনাটি দিল্লির। সম্প্রতি সেখানে একটি বিয়ের আসরে বরযাত্রীর সঙ্গে নাচতে নাচতে ঢুকেছিলেন বর। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বরযাত্রী বন্ধুদের অনুরোধ রাখতেই গানের সঙ্গে কোমর দোলান যুবক। নাচতে নাচতে বিয়ের মণ্ডপ পর্যন্ত পৌঁছন। তাঁর নাচে আপত্তি ছিল না কনের বাবার। আপত্তি ছিল যে গানে তিনি নেচেছেন, সেই গানটিতে।

কী গান? ১৯৯৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘খলনায়ক’-এ ব্যবহৃত অলকা ইয়াগনিকের কণ্ঠে ‘চোলি কে পিছে কেয়া হ্যায়’ গানটি এত বছর পরেও সমান জনপ্রিয়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, পাড়ার পুজোমণ্ডপে এই গান বাজানো হয়ে থাকে। বিয়েবাড়িতেও সেই গান চালানো হয়েছিল। বন্ধুদের অনুরোধে সেই গানের তালে তালে নাচছিলেন বর। কিন্তু কনের বাবার মনে হয়েছে, এই গান ‘অশ্লীল’। এই গানে তাঁদের পারিবারিক মূল্যবোধকেও আঘাত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

গান থামিয়ে বিয়ে ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন কনের বাবা। বরযাত্রীর সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় তাঁর। কনের পরিবারের লোকজনও তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বিয়ে দিতে আর রাজি হননি তিনি। কনের কান্নাতেও তাঁর মন গলেনি। এমনকি, বর তাঁর কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। কিন্তু কনের সঙ্গে তাঁর পরিবারের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন বাবা।

এই ঘটনা সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং তা নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছে। অনেকেই কনের বাবার সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত হয়েছেন। অনেকে আবার জানিয়েছেন, কনের বাবা ‘বাড়াবাড়ি’ করে ফেলেছেন। কেউ কেউ বলেছেন, আদৌ ওই যুবকের সঙ্গে কন্যার বিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা ছিল না বাবার। তাই গানটিকে অজুহাত করে তিনি বিয়ে ভেঙেছেন।

Advertisement
আরও পড়ুন