UP Crime News

‘আমি তো বেঁচে’! নিজের খুনের মামলার শুনানিতেই হঠাৎ হাজির ১১ বছরের কিশোর

ছোট থেকে মামাবাড়িতে মানুষ কিশোর। তার বাবা তাকে নিজের কাছে এনে রাখতে চাইতেন। সেই নিয়েই দুই পরিবারের বচসা। অভিযোগ, পুত্রকে খুনের মিথ্যা মামলা সাজান খোদ বাবা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:৩৫
Boy appears before Supreme Court during his own murder case

সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

নিজের খুনের মামলার শুনানি চলাকালীন আদালতে হঠাৎ হাজির হল ১১ বছরের কিশোর। অভিযোগ, তাকে খুনের মিথ্যা মামলা সাজিয়েছেন তার বাবা। কিশোরের দাদু এবং মামাবাড়ির বাকি সদস্যদের বিপদে ফেলতেই এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আদালতে সশরীরে উপস্থিত হয়ে মামলাটিকে মিথ্যা প্রমাণিত করেছে ওই কিশোর।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশের পিলিভিটের বাসিন্দা ওই কিশোর ছোটবেলাতেই মাকে হারিয়েছে। অভিযোগ, পণের দাবিতে তার বাবা তার মাকে মারধর করতেন। সেই মারের চোটেই এক দিন মৃত্যু হয় মহিলার। ওই ঘটনার পর মহিলার বাবা জামাইয়ের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগও দায়ের করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ।

এর পর শিশুটি কার কাছে থাকবে তা নিয়ে বাবা এবং দাদুর মধ্যে আইনি লড়াই চলেছে দীর্ঘ দিন। তাতে সুবিধা করতে না পেরে অভিযুক্ত শিশুর দাদু এবং মামাদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। কিশোরের মৃত্যুর মিথ্যা মামলা সাজিয়ে তাঁদের বিপাকে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ।

খুনের মামলা দায়ের হওয়ার পর কিশোরের দাদু এবং মামাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এই মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রথমে এলাহাবাদ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ধৃতেরা। পরে সুপ্রিম কোর্টে মামলা ওঠে। সেই মামলার শুনানি যখন আদালতে চলছে, তখন আচমকা সুপ্রিম কোর্টের এজলাসে হাজির হয় ‘খুন হয়ে যাওয়া’ সেই কিশোর। সে আদালতে দাঁড়িয়ে বাবার বিপক্ষে বয়ান দেয় এবং দাদুদের মুক্তির আবেদন জানায়।

এর পরেই উত্তরপ্রদেশ সরকার, পিলিভিটের পুলিশ সুপারকে নোটিস পাঠায় শীর্ষ আদালত। মামলাকারীর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না বলেও জানান বিচারপতিরা। আদালতের নির্দেশে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন
Advertisement