Brij Bhushan Sharan Singh

বিনেশ প্রসঙ্গে মুখ বন্ধের নির্দেশ ব্রিজভূষণকে

কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি থাকাকালীন বিজেপি নেতা ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধেই বিনেশ ফোগত-সহ পদকজয়ী মহিলা কুস্তিগিরেরা যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন। বিনেশ এ বার কংগ্রেসে যোগ দিয়ে হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৬:৫৭
বিনেশ ফোগাট এবং ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ। ছবি: পিটিআই।

বিনেশ ফোগাট এবং ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ। ছবি: পিটিআই।

ব্রিজভূষণ শরণ সিংহকে মুখ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁকে বিনেশ ফোগত সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করার বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা নিজে ফোন করে ব্রিজভূষণকে মুখ বন্ধ রাখতে বলেছেন বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি থাকাকালীন বিজেপি নেতা ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধেই বিনেশ ফোগত-সহ পদকজয়ী মহিলা কুস্তিগিরেরা যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন। বিনেশ এ বার কংগ্রেসে যোগ দিয়ে হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি রাজনীতিতে নামার পরেই ব্রিজভূষণ অভিযোগ তুলেছিলেন, বিনেশদের কংগ্রেস ‘রাজনীতির ঘুঁটি’ হিসেবে কাজে লাগিয়েছিল। বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছেন, ব্রিজভূষণের এ সব মন্তব্যে উল্টে বিজেপিরই ক্ষতি হবে। কারণ এমনিতেই হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন বিজেপি চাপে রয়েছে। ‘হরিয়ানার বেটি’ বিনেশদের উপরে নির্যাতনের অভিযোগ সত্ত্বেও বিজেপি নেতৃত্ব ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেননি বলে ক্ষোভ ছিলই। এখন ব্রিজভূষণ ফের তাঁদের সম্পর্কে আজেবাজে মন্তব্য করলে আরও বিপদ বাড়বে বলে বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছেন।

বিজেপি সূত্রের বক্তব্য, একই কারণে কৃষক আন্দোলন নিয়ে উল্টোপাল্টা মন্তব্য করার পরে কঙ্গনা রানাউতকে সতর্ক করেছিলেন বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা। কারণ হরিয়ানার চাষিরা আন্দোলনে ছিলেন। এ বার নড্ডা ব্রিজভূষণকে মুখ বন্ধ রাখতে বলেছেন। বিজেপি মনে করছে, অল্পের জন্য অলিম্পিক্সের পদক হাতছাড়া হওয়ার পরে গোটা দেশের আবেগ বিনেশের সঙ্গে রয়েছে। তাই হরিয়ানার সঙ্গে অন্যত্রও বিজেপিকে খেসারত দিতে হবে। আর জি কর কাণ্ড নিয়ে সরব বিজেপির বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের প্রশ্নে দ্বিচারিতার অভিযোগ উঠবে।

বিনেশ নিজে আজ তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র, শ্বশুরবাড়ির এলাকা জুলানায় প্রচার শুরু করেছেন। ব্রিজভূষণ সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, এ সব লোকের কথার কোনও গুরুত্ব নেই। ব্রিজভূষণের অন্য কথার মতো এ সব অভিযোগও ভুল প্রমাণিত হবে। ব্রিজভূষণকে মুখ বন্ধ রাখতে বললেও বিজেপি নেতৃত্ব সকলের মুখ বন্ধ করতে পারেননি। হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, বর্তমানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর দাবি করেছেন, বিনেশ জুলানা থেকে পালাতে চাইছেন। কংগ্রেসের দাবি, আজ বিনেশকে ঘিরে জুলানার মানুষের আবেগ ছিল দেখার মতো। খট্টরকে এখন বিজেপি দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলাতে মাঠে নামিয়েছে। কারণ প্রার্থী ঘোষণার পরে বিজেপির অন্দরমহলে বিক্ষোভের দাবানল শুরু হয়েছে। দলের পুরনো নেতাদের বদলে বাইরে থেকে আসা নেতাদের টিকিট দেওয়া হয়েছে বলে ক্ষোভ বেড়েছে।

উল্টো দিকে কংগ্রেস সূত্রের দাবি, আপের সঙ্গে কংগ্রেসের আসন সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত। আপ পাঁচ থেকে ছ’টি আসনে লড়বে। সোমবারই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হতে পারে। দিল্লির আপ নেতা সোমনাথ ভারতীর অভিযোগ, লোকসভা ভোটে দিল্লিতে আসন সমঝোতা হলেও কংগ্রেস আপ-কে সাহায্য করেনি। আপ নেতা রাঘব চাড্ডার বক্তব্য, যদি দেখা যায় হরিয়ানায় জোট করে দু’দলেরই লাভ হচ্ছে না, তা হলে সমঝোতা হবে না।

আরও পড়ুন
Advertisement