BJP

পদ্ম-সভাপতি বাছাই দলীয় নির্বাচনের পর

দলের নতুন সভাপতি হিসাবে জল্পনায় রয়েছে একাধিক নাম। সূত্রের মতে, দৌড়ে রয়েছেন জাতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনশল। দলের মধ্যে দক্ষ সংগঠক হিসাবে পরিচিত সুনীল শাহেরও ঘনিষ্ঠ।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০২৪ ০৮:২৯
bjp

—প্রতীকী ছবি।

জে পি নাড্ডার পরবর্তী দলীয় সভাপতির খোঁজ শুরু হয়ে গেল বিজেপিতে। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে বছরের শুরুতেই মেয়াদ শেষ হয়েছিল নড্ডার। কিন্তু লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে ছ'মাসের জন্য মেয়াদ বাড়ানো হয়। ফলে এমনিতেই চলতি মাসে সভাপতির মেয়াদ শেষ হচ্ছিল নড্ডার। এরই মধ্যে মোদীর তৃতীয় মন্ত্রিসভায় নড্ডা স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রত্যাবর্তন করায় তাঁর সভাপতি পদ থেকে সরে যাওয়া অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে।

Advertisement

বিজেপির এক নেতা বলেন, “আগামী মাস থেকে বিভিন্ন রাজ্যে সাংগঠনিক নির্বাচন শুরু হবে। যা সাঙ্গ হওয়ার পরেই জে পি নড্ডার পরবর্তী নেতা হিসাবে কাউকে বেছে নেবে দল। তত দিন অস্থায়ী সভাপতি হিসাবে কাজ চালাবেন না।” ২০১৯ সালে ঠিক এ ভাবেই অমিত শাহ দল ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্ব একসঙ্গে সামলেছিলেন। প্রায় ছ'মাস পরে জানুয়ারিতে দলের ব্যাটন নড্ডার হাতে তুলে দেন শাহ। এ ক্ষেত্রেও সেই সমীকরণ মেনেই এগোনোর কথা ভাবছে বিজেপি।

দলের নতুন সভাপতি হিসাবে জল্পনায় রয়েছে একাধিক নাম। সূত্রের মতে, দৌড়ে রয়েছেন জাতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনশল। দলের মধ্যে দক্ষ সংগঠক হিসাবে পরিচিত সুনীল শাহেরও ঘনিষ্ঠ। এক সময়ে সঙ্ঘের প্রচারকের দায়িত্বে থাকা সুনীল উত্তরপ্রদেশে ২০১৪-২০২২ সাল পর্যন্ত সংগঠন সামলেছেন। সে সময়ে উত্তরপ্রদেশে দল সাংগঠনিক ও আসনপ্রাপ্তির দিক থেকে শীর্ষে পৌঁছেছিল। দু'বছর আগে পশ্চিমবঙ্গ, তেলঙ্গনা ও ওড়িশার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। পশ্চিমবঙ্গে কাঙ্ক্ষিত ফল না হলেও তেলঙ্গনা বিধানসভা ভোটে দল দ্বিতীয় হয়েছে। লোকসভায় আসন দ্বিগুণ করেছে। ওড়িশায় সরকারই গড়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছে তারা। ফলে কাজের দিক থেকে যেমন সফল সুনীল, তেমনই শীর্ষ নেতৃত্বেরও পছন্দের তিনি।

দৌড়ে রয়েছেন আর এক জাতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা দলের ওবিসি নেতা বিনোদ তাউড়ে-ও। তাঁর মূল পরিচয়, সঙ্ঘের কাছের লোক। মহারাষ্ট্রের তাউড়ে এ বার বিহারের দায়িত্বে ছিলেন। সেখানে আসন ধরে রাখতে পারায় দলে গুরুত্ব বেড়েছে তাঁর। এ বছর মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন। তাউড়ে নিজে মরাঠা নেতা। তাঁকে জাতীয় সভাপতি করা হলে এক দিকে রাজ্যের মরাঠা ভোট এক করা সম্ভব হবে। তেমনই তাউড়ের ওবিসি পরিচয়কে সামনে তুলে ধরে ওবিসি ভোটব্যাঙ্ককেও বার্তা দেওয়া যাবে।

যদিও বিজেপির একাংশ বলছেন, ওবিসি পরিচয়ের কারণেই তাউড়ে দৌড় থেকে ছিটকে যেতেও পারেন। কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে ওবিসি সমাজের নেতা। সে কারণে জে পি নড্ডার মতো ব্রাহ্মণ তথা উচ্চবর্ণের নেতাকে দলের শীর্ষে বসিয়ে ভারসাম্যের কৌশল নিয়েছিল বিজেপি। আগামী দিনেও সেই সমীকরণ মানা হলে তাউড়ের সভাপতি হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তালিকায় রয়েছেন দিল্লি বিজেপির নেতা ওম মাথুর। অরুণ জেটলির ঘনিষ্ঠ ওই নেতাও সঙ্ঘের ঘনিষ্ঠ। উপরন্তু তাঁর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গেও সুসম্পর্ক রয়েছে। আগামী বছর দিল্লিতে ভোট। দিল্লিতে লোকসভা নির্বাচনে জেতার হ্যাটট্রিক হলেও গত তিনটি বিধানসভায় একবারও জিততে পারেনি বিজেপি। সূত্রের মতে, ছবিটি বদলাতে ওম মাথুরের নাম নিয়েও আলোচনা চলছে দলের অভ্যন্তরে।

আরও পড়ুন
Advertisement