বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। —ফাইল চিত্র।
পটনায় প্রথম বৈঠকের পর বেঙ্গালুরুতে শুরু হয়েছে বিরোধী শিবিরের দ্বিতীয় বৈঠক। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের যৌথ রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে সোম এবং মঙ্গলবার চলবে বৈঠক। সোমবার প্রারম্ভিক বৈঠক হলেও মঙ্গলবার সারা দিন মূল বৈঠক চলবে। তার আগেই বিরোধীদের এই বৈঠককে কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। তিনি বলেন, “বিরোধীদের এই বৈঠক দুর্নীতিগ্রস্তদের সমাবেশ। কোনও মনোস্থিরতা নেই তাদের।” তাঁর দাবি, বিরোধীদের কোনও মুখ নেই। নীতিও নেই।
গত ২৩ জুন পটনায় বিরোধী জোটের প্রথম বৈঠককে কটাক্ষ করেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মধ্যপ্রদেশের ভোপালে একটি জনসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে বিরোধী ঐক্যকে আক্রমণ করে তিনি বলেছিলেন, “মনে রাখবেন বিরোধী মানেই দুর্নীতি আর কেলেঙ্কারির গ্যারান্টি। ২০ লক্ষ কোটি টাকা নয়ছয়ের গ্যারান্টি দেবেন ওঁরা।” এ বার কটাক্ষ করলেন জেপি নড্ডা। সোমবার রাতে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, “বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের এই বৈঠক ফোটোসেশন ছাড়া কিছুই নয়। এই জোট তৈরিই হয়েছে রাজনৈতিক স্বার্থপরতার উপর ভিত্তি করে।” তিনি আরও বলেন, “এখনও পর্যন্ত বিরোধীরা তাদের নেতা নির্বাচিত করে উঠতে পারেনি। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তাদের হয়নি। কোনও নীতি নেই, কোনও মনোস্থিরতা নেই, কোনও কর্মসূচিও নেই। যখন হবে তখন আমরা কথা বলব। আমরা অন্যের দুর্বলতা দেখে ভোটে লড়তে যাই না। আমরা নিজেরা কোনও সমস্যায় পড়লে, নিজের দুর্বলতা খুঁজে নিয়ে তা শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করি। এটাই আমাদের আদর্শ।”
কেন্দ্রীয় সংস্থাকে নিজেদের সুবিধার্থে ব্যবহার করছে বিজেপি। কংগ্রেসের তোলা এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে নড্ডা বলেন, “তথ্য এ দিক ও দিক করতে ওরা খুব ভাল পারে। ওদের বিরুদ্ধে কিছু পদক্ষেপ করা হলেই নিজেদের ভুক্তভোগী বলে দাগিয়ে দেয়। ন্যাশনাল হেরাল্ড কাণ্ডের জন্য কারা দায়ী? মা এবং ছেলে জামিন পেয়েই তো বাইরে রয়েছেন। পুরোটাই ওঁদের নাটক।”
অন্য দিকে, মঙ্গলবার যখন বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কৌশল নির্ধারণে বিরোধীদের বৈঠক চলবে তখন লোকসভা ভোটকে ‘পাখির চোখ’ করে নিজেদের সহযোগীদের নিয়ে আলোচনায় বসবেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপি নড্ডারা। উদ্দেশ্য, লোকসভা ভোটের আগে এনডিএ-র সম্প্রসারণ। বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা সোমবার বলেন, ‘‘এনডিএ-র মঙ্গলবারের বৈঠকে ৩৮টি দলের নেতৃত্ব হাজির থাকবেন।’’