BJP

মণিপুরের পাল্টা সন্দেশখালি-তির

ভোর রাতে রাজ্যসভায় হওয়া মণিপুর নিয়ে আলোচনায় হঠাৎই সন্দেশখালি প্রসঙ্গ টেনে আনেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অমিত শাহের বক্তব্য রাখার আগে সংঘর্ষে দীর্ণ মণিপুরে মহিলাদের উপরে অত্যাচারের প্রসঙ্গ নিয়ে সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:৪২

— প্রতীকী চিত্র।

সংসদে ও সংসদের বাইরে আজ সন্দেশখালি-মোথাবাড়ি প্রশ্নে সরব হল বিজেপি।

Advertisement

আজ ভোর রাতে রাজ্যসভায় হওয়া মণিপুর নিয়ে আলোচনায় হঠাৎই সন্দেশখালি প্রসঙ্গ টেনে আনেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অমিত শাহের বক্তব্য রাখার আগে সংঘর্ষে দীর্ণ মণিপুরে মহিলাদের উপরে অত্যাচারের প্রসঙ্গ নিয়ে সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। পাল্টা জবাবে আজ সন্দেশখালির প্রসঙ্গ টেনে আনেন শাহ। তিনি মণিপুর বিতর্কের জবাবে ডেরেককে উদ্দেশ করে বলেন, ‘‘মণিপুরে গোষ্ঠী সংঘর্ষ হয়েছিল মেনে নিলাম। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে তো তা হয়নি। কিন্তু তাও বছরের পর বছর সন্দেশখালিতে মহিলাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। কোনও ব্যবস্থা নেয়নি আপনার সরকার। পরে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ সামনে আসায় তৃণমূলের নেতাকেই সাসপেন্ড করতে বাধ্য হয়েছিল দল। কেবল সন্দেশখালিই নয়, আর জি কর কাণ্ডে কিছু করেননি আপনারা।’’ মণিপুরের গোষ্ঠী সংঘর্ষে আড়াইশো জনের মৃত্যুর ঘটনা স্বীকার করে নেন শাহ। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে কেন নির্বাচনী হিংসায় আড়াইশোর কাছাকাছি মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে তো আর গোষ্ঠী সংঘর্ষ হয়নি। তাহলে কেন এত লোক নির্বাচনী হিংসায় মারা পড়ল?’’

সংসদের বাইরে আজ পশ্চিমবঙ্গের মোথাবাড়ি, বেলডাঙ্গা-সহ বিভিন্ন এলাকায় হিন্দুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে দাবি তুলে দিল্লির হেলি রোডে থাকা বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ‘লয়ার্স ফর জাস্টিস’ সংগঠন। যাতে যোগ দেন বিজেপি সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার-সহ রাজ্যের একাধিক বিজেপি সাংসদ। তাঁরা ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁদের আটক করে পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এর পরে সুকান্ত মজুমদার ও দুই বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও খগেন মুর্মু ও আইনজীবী সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন। সুকান্ত বলেন, ‘‘রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় হিন্দুদের উপরে যে হামলা চলছে, তা মানবাধিকার কমিশনকে জানানো হয়েছে। হিন্দুদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। কমিশনের দলকে উপদ্রুত এলাকা ঘুরে দেখার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন