Kanwar Yatra

‘হাতে এখনও সময় আছে’, কাঁওয়ার যাত্রা বিতর্কে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে সতর্ক করল বিজেপিরই ‘বন্ধু’ দল

কাঁওয়ার যাত্রায় পথের ধারে খাবারের দোকানগুলির বোর্ডে মালিকের নাম-পরিচয় লিখে রাখার নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। সেই নিয়ে বিরোধীরা তো সমালোচনা করছেই, এ বার মুখ খুললেন বিজেপিরই শরিক দলের নেতা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২৪ ১৬:১৩
BJP ally RLD leader Jayant Chaudhary comments on Uttar Pradesh Government decision over Kanwar Yatra

(বাঁ দিকে) যোগী আদিত্যনাথ ও জয়ন্ত চৌধরি (ডান দিকে) —ফাইল চিত্র।

কাঁওয়ার যাত্রাকে কেন্দ্র করে উত্তরপ্রদেশ সরকারের নির্দেশিকাকে ঘিরে যে বিতর্ক ছড়িয়েছে, তাতে আরও ঘি ঢালল বিজেপিরই শরিক দল। আগে-পিছে না ভেবেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলে মনে করছেন বিজেপির জোটসঙ্গী রাষ্ট্রীয় লোক দলের প্রধান জয়ন্ত চৌধরি। প্রশাসনের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, নির্দেশ প্রত্যাহারের জন্য এখনও সময় আছে। উত্তরপ্রদেশ সরকার যাতে অবিলম্বে নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে, রবিবার সেই দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে কাঁওয়ার যাত্রা। তার আগে উত্তর প্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের সরকার সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, কাঁওয়ার যাত্রায় পথের ধারে যে খাবারের দোকানগুলি রয়েছে, সেখানে দোকানের বোর্ডে দোকানদারের নাম-পরিচয় লিখে রাখতে হবে। এই নির্দেশিকা ঘিরেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারকে সমালোচনায় বিঁধতে শুরু করেছে বিরোধীরা। রবিবার সংসদে সর্বদল বৈঠকেও উঠে এসেছে কাঁওয়ার যাত্রা ঘিরে বিতর্কের কথা।

এ বার বিজেপির ‘বন্ধু’ দলও কাঁওয়ার যাত্রাকে কেন্দ্র করে নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবি তুলল। রাষ্ট্রীয় লোকদলের প্রধান তথা রাজ্যসভার সাংসদ জয়ন্ত চৌধরি বলেন, “মনে হচ্ছে কোনও চিন্তা ভাবনা না করেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সরকার এই বিষয়ে আরও অনমনীয় হয়ে উঠছে, কারণ তারা ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। কিন্তু এখনও সময় আছে। এটা প্রত্যাহার করে নেওয়া উচিত কিংবা এটা নিয়ে আর বেশি নাড়াচাড়া (কার্যকর) করা উচিত নয়।”

তাঁর ব্যাখ্যায়, কাঁওয়ার কোনও একটি জাতি বা সম্প্রদায়ের নয়, এই তীর্থক্ষেত্র সকলের। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশ সরকারের এই নির্দেশিকা ঘিরে বিতর্কের আবহেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ দাবি করেছেন, কাঁওয়ার তীর্থযাত্রীদের পবিত্রতা রক্ষার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement