Bengaluru News

গুটখা কিনে আনতে রাজি না হওয়ায় সাত বছরের শিশুকে খুন! দু’মাস পর পুলিশের জালে অভিযুক্ত

বেঙ্গালুরুর এক প্রৌঢ় পাশের বাড়ির সাত বছরের বালিকাকে গুটখা কিনতে পাঠিয়েছিলেন। দ্বিতীয় বার তাতে রাজি না হওয়ায় মাথায় লাঠির বাড়ি মেরে তাকে খুন করা হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০২৪ ১৪:৪০

—প্রতীকী চিত্র।

গুটখা কিনে আনতে পাঠিয়েছিলেন সাত বছরের বালিকাকে। এক বার এনে দিলেও দ্বিতীয় বার আর আনতে রাজি হয়নি সে। তাতেই কাল হল। রাগের মাথায় বালিকার মাথায় লাঠির বাড়ি মারলেন প্রৌঢ়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হল তার। দু’মাস পর এই রহস্যের কিনারা করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।

Advertisement

ঘটনাটি বেঙ্গালুরুর ইয়ালাবুর্গ তালুকের। গত ১৯ এপ্রিল সেখানকার বাসিন্দা সাত বছরের এক বালিকা নিখোঁজ হয়ে যায়। রবিবার সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই প্রৌঢ় এত দিন পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে এলাকায় ঘুরছিলেন বলে অভিযোগ। অবশেষে রহস্যের কিনারা করতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।

পুলিশ সূত্রে খবর, নিখোঁজ হওয়ার দু’দিন পর বালিকার দেহ পাওয়া গিয়েছিল একটি জলের ট্যাঙ্কের মধ্যে থেকে। তার চপ্পল, আঘাতকারী লাঠিও উদ্ধার করেছিল পুলিশ। যে দিন তাঁকে মারা হয়, সে দিন গ্রামে বিশেষ লোকজন ছিল না বলে পুলিশ জানিয়েছে। সকলে একটি বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। পুলিশ আরও জানিয়েছে, ঘটনার কিছু দিন আগে ভাইয়ের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন অভি‌যুক্ত। সেই ঝামেলায় আহত হয়েছিলেন। তাই তিনি অনুষ্ঠানে যাননি। ঘটনার সময়ে তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ।

ধৃতের নাম সিদ্দালিঙ্গইয়া। পাশের বাড়ির এক বালিকাকে ডেকে তিনি গুটখা কিনে আনতে বলেছিলেন। সকালে এনে দিলেও বেলার দিকে আরও এক বার গুটখা চাইলে আর দোকানে যেতে রাজি হয়নি ওই বালিকা। রাগে তার মাথায় সজোরে লাঠির বাড়ি মারেন প্রৌঢ়। মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে সে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

অভিযুক্তকে ধরিয়ে দিতে পারলে ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল পুলিশ। কোপ্পলের এসপি জানিয়েছেন, তাঁদের কর্মীদের দক্ষতাতেই রহস্যের কিনারা করা গিয়েছে। তাই ওই অর্থ তাঁদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। ধৃতের বিরুদ্ধে ৩০২-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement