Bengaluru Blast

বেঙ্গালুরুর ক্যাফেতে বসে ফোন করেন সন্দেহভাজন, কার সঙ্গে কথা হয়? জানতে ৫০০ কলে নজর পুলিশের

পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই ক্যাফের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। পাশাপাশি, এলাকার আরও কয়েকটি জায়গার সিসিটিভি ফুটেজও তদন্তকারী অফিসারদের আতশকাচের নীচে রয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২৪ ১৪:৩৩
Bengaluru blast case suspect talked on phone at Rameshwaram Cafe

বেঙ্গালুরু ক্যাফেতে বিস্ফোরণ। ছবি পিটিআই।

বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণ কাণ্ডে পুলিশ এখনও মূল অভিষুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে তদন্তে উঠে এসে এমন কিছু তথ্য, যা অভিযুক্তকে খুঁজে বার করতে সাহায্য করবে বলে মনে করছে পুলিশ। কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর রবিবার সংবাদমাধ্যমে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে বলতে গিয়ে উল্লেখ করেন বছর দু’য়েক আগে মেঙ্গালুরুর এক বিস্ফোরণের কথা। তিনি জানান, রামেশ্বরমের ক্যাফে বিস্ফোরণে যে পদ্ধতি এবং যে ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে, তার সঙ্গে মেঙ্গালুরুর ঘটনার মিল আছে। মন্ত্রীর কথায়, ‘‘আমরা সেই দিকটাও খতিয়ে দেখছি। এ ছাড়াও এই ঘটনার নেপথ্যে কোনও ‘ঈর্ষার কারণ’ রয়েছে কি না, তা-ও পুলিশ দেখছে।’’

Advertisement

পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই ক্যাফের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। পাশাপাশি, এলাকার আরও কয়েকটি জায়গার সিসিটিভি ফুটেজও তদন্তকারী অফিসারদের আতশকাচের নীচে রয়েছে। সেই সব ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পেরেছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় একটি ব্যাগ নিয়ে ক্যাফেতে ঢুকেছিলেন এক সন্দেহভাজন যুবক। মাত্র ১৫ মিনিট ওই ক্যাফেতে ছিলেন তিনি। তবে ক্যাফে ছাড়ার আগে সঙ্গে আনা ব্যাগটি রেখে যান ওই যুবক। তিনি বেরিয়ে যাওয়ার ৭১ মিনিট পর বিস্ফোরণ ঘটে। গোটা ঘটনার সময় এবং তার কিছু সময় আগে এবং পরে ওই এলাকা থেকে কতগুলি ফোন হয়েছে, কোথায় কোথায় সেই সব ফোন গিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূ্ত্রে খবর।

জানা গিয়েছে, ওই সময়ের মধ্যে ৫০০টি ফোন কলের উপর নজর রাখছে পুলিশ। সেই সব কলের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। বিস্ফোরণের সঙ্গে সেগুলির কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না তা-ও পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ আরও জানতে পারে, বোমা বিস্ফোরণে সন্দেহভাজন ক্যাফেতে বসে ফোনে কথা বলেছিলেন। বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার বি দয়ানন্দ জানিয়েছেন, ক্রাইম ব্রাঞ্চ শনিবার চার জনকে আটক করেছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। পুলিশের বেশ কয়েকটি দল বিভিন্ন তথ্য খতিয়ে দেখছে। পুলিশ সূত্রে খবর, আটক হওয়া চার জন বিস্ফোরণ ঘটানোর সঙ্গে যুক্ত নন। তবে মনে করা হচ্ছে, তাঁরা ওই যুবককে সাহায্য করেছেন, যিনি ক্যাফতে বোমা রেখেছিলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, এই বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য আইইডি ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু সেই বিস্ফোরকের মাত্রা খুব বেশি না থাকায় জোরালো বিস্ফোরণ হয়নি। বেশি মাত্রায় এই বিস্ফোরক ব্যবহার করলে প্রচুর প্রাণহানি ঘটতে পারত। বিস্ফোরণ কাণ্ডে ১০ জন আহত হয়েছেন। হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে।

আরও পড়ুন
Advertisement