নয়াদিল্লি সফরে আসছেন শেখ হাসিনা। ফাইল চিত্র।
দক্ষিণ এশিয়ার পরিবর্তিত ভূকৌশল এবং ভূ-অর্থনীতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে ভারতের উচিত আরও কিছু নতুন পদক্ষেপ করা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরের এক সপ্তাহ আগে এটাই চাইছে ঢাকা।
সূত্রের বক্তব্য, “ভারতের উচিত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এবং নিজেদের আর্থিক সম্ভাবনার মধ্যে সূক্ষ্ম ভারসাম্য তৈরি করা। বেশ কিছু উদ্বেগের জায়গা দূর হয়েছে। দু’দেশের মধ্যে যে সুস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাকে ধরে রাখতে তিস্তা চুক্তি এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রসঙ্গে ভারতের ইতিবাচক ভূমিকা খুবই জরুরি। বাংলাদেশ মনে করে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী মোকাবিলা করার জন্য আরও উন্নত প্রকৌশল তৈরি করার প্রয়োজন।”
শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নিরিখেই শেখ হাসিনার জন্য এ বারের দিল্লি সফর যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা নয়, ঘরোয়া রাজনৈতিক কারণেও বটে। বাংলাদেশে এগিয়ে আসছে সাধারণ নির্বাচন। আমেরিকা-সহ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের নজর থাকবে এই ভোটের দিকে। সূত্রের মতে, এই সময়ে দেশের ভিতর ভারত-বিরোধিতার নামে উগ্র মৌলবাদের বাড়বাড়ন্তকে একেবারেই প্রশ্রয় দিতে চায় না আওয়ামী লীগ সরকার। সে কারণে আসন্ন সফরে কিছু কূটনৈতিক ফসল সঙ্গে নিয়ে ঢাকার ফিরতি বিমানে উঠতে চান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তাই ঢাকার পক্ষ থেকে হাসিনার সফরের আগেই যাবতীয় কূটনৈতিক দৌত্যের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে।
ঢাকার এক শীর্ষ সূত্রের কথায়, “বেআইনি বাণিজ্য, গবাদি পশু পাচার, নারী পচারের মতো বিষয়গুলিতে আরও নজরদারি বাড়ানোর জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে যৌথ টহলদারিতে সমস্যা কমতে পারে। সার্ক, বিমস্টেক, বিবিআইএন-এর মতো আঞ্চলিক গোষ্ঠীতে ভারত এবং বাংলাদেশের আরও বেশি করে সমন্বয় বাড়ানো প্রয়োজন।” যে বিষয়গুলিতে সহযোগিতা বাড়ানো নিয়ে আসন্ন শীর্ষ বৈঠকে আলোচনা হবে তার মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য, শক্তি, পরিবহণ যোগাযোগ, সীমান্ত নিরাপত্তা, জল সম্পদ, প্রতিরক্ষার মতো বিষয়গুলি।