Earthquake in Asian Countries

দেড় ঘণ্টায় পর পর ভূমিকম্প ভারত-সহ এশিয়ার চার দেশে! সাগরের নীচেও কম্পন ৬.৬ মাত্রায়

বুধবার ভোর ৩টে ৫০ মিনিটে ভূমিকম্প হয় তিব্বতে। তার পর থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে আরও তিন বার কাঁপে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মাটি। ভূমিকম্প হয়েছে সমুদ্রেও।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:০৪
Back to back earthquake in four Asian countries including India and Bangladesh

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পর পর ভূমিকম্পের ফলে উদ্বেগ বাড়ছে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

মাত্র দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে পর পর চার বার কাঁপল এশিয়ার মাটি। কম্পন অনুভূত হল ভারতেও। এ ছাড়া, ভারত মহাসাগরের নীচে ৬.৬ মাত্রার জোরালো কম্পন হয়েছে বুধবার সকালে। যদিও সুনামির কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি।

Advertisement

বুধবার ভোর ৩টে ৫০ মিনিটে ভূমিকম্প হয় তিব্বতে। ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির (এনসিএস) তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.২। মাটি থেকে ২৬ কিলোমিটার গভীরে ছিল কম্পনের উৎস। গভীরতা বেশি এবং মাত্রা তুলনামূলক কম থাকায় এই ভূমিকম্পে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে এর ৫০ মিনিট পর আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ পর্বত এলাকায় আবার ভূমিকম্প হয়। এনসিএস জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ওই কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৯। ভোর ৪টে ৪৩ মিনিটে মাটি থেকে ৭৫ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্প হয়েছে। উৎসস্থল ছিল আফগানিস্তানের বাঘনাল থেকে ১৬৪ কিলোমিটার পূর্বে। আফগানিস্তানের এই কম্পনের আঁচ এসে পড়ে ভারতেও। রাজধানী দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকায় জোরালো কম্পন টের পাওয়া গিয়েছে। ভোরে অনেকেই কম্পন বুঝতে পেরে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। অভিজ্ঞতার কথা তাঁরা সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন।

কয়েক মিনিটের ব্যবধানে বাংলাদেশে একটি মৃদু ভূমিকম্প হয়। বুধবার ভোর ৫টা ৭ মিনিটে ওই কম্পনের মাত্রা ছিল ২.৯। বাংলাদেশে ভূমিকম্পের উৎস ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৪ কিলোমিটার গভীরে।

ভোর ৫টা ১৪ মিনিটে চতুর্থ বার কেঁপে ওঠে দক্ষিণ এশিয়ার মাটি। এ বার কম্পনের উৎস ছিল খাস ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর। এনসিএসের তথ্য অনুযায়ী, জম্মু ও কাশ্মীরের কিস্তওয়ার অঞ্চলে মাটি থেকে ৫ কিলোমিটার গভীরে একটি মৃদু ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ২.৪।

এ ছাড়া, বুধবার সকালে ভারত মহাসাগরের নীচেও জোরালো কম্পন হয়েছে। সকাল ৭টা ১২ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল থেকে বেশ খানিকটা দূরে সমুদ্রের নীচের মাটি কেঁপে ওঠে। আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভের তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৬। অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে কম্পনের উৎসস্থল ২,০৬৯ কিলোমিটার দূরে এবং ১০ কিলোমিটার গভীরে।

ভূমিকম্পের ফলে এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে পর পর কম্পনে এশিয়া এবং সংলগ্ন সমুদ্র অঞ্চল নিয়ে উদ্বেগে বিশেষজ্ঞেরা।

Advertisement
আরও পড়ুন