চরণজিৎ সিংহ চন্নী এবং নভজোৎ সিংহ সিধু। ফাইল চিত্র।
বিধানসভা ভোটের আর তিন সপ্তাহও দেরি নেই। অধিকাংশ জনমত সমীক্ষার পূর্বাভাস কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে পঞ্জাবে এক নম্বর দল হতে চলেছে আম আদমি পার্টি (আপ)। কিন্তু ভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন, তা নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে চলছে তুমুল লড়াই। এই পরিস্থিতিতে অরবিন্দ কেজরীবালের দলের পথে হেঁটেই আম জনতার পছন্দ জানতে চাইছে কংগ্রেস হাইকমান্ড।
পঞ্জাবে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী বাছতে কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্ব বুধবার ‘ইন্টার্যাকটিভ ভয়েস রেসপন্স’ (আইভিআর) কলের মাধ্যমে আমজনতার মতামত নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সূত্রের খবর, অন্যান্য আইভিআর কলের মতোই সেখানে যান্ত্রিক নির্দেশ অনুসারে বোতাম টিপে পছন্দের মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়া যাবে। সেখানে এক নম্বরে রয়েছে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিংহ চন্নীর নাম। দ্বিতীয় স্থানে পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি নভজ্যোত সিংহ সিধুর। তিন নম্বর বিকল্পে জানতে চাওয়া হয়েছে, কোনও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা না করেই কি কংগ্রেসের ভোটে লড়া উচিত?
এর আগে ‘আপ’-এর তরফে এসএমএস-এর মাধ্যমে জনতার পছন্দের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সাংসদ ভগবন্ত মানকে বেছে নেওয়া হয়েছে। চন্নী-সিধু দ্বন্দ্ব এড়াতে এ বার কংগ্রেসও সেই পথেই পা বাড়াতে চলেছে। ভোটের চার মাস আগে কংগ্রেস অমরেন্দ্র সিংহকে সরিয়ে দলিত শিখ নেতা চন্নীকে মুখ্যমন্ত্রী করে। প্রতিবাদে দল ছেড়ে বিজেপি-র সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন অমরেন্দ্র।
এখনও পর্যন্ত অধিকাংশ জনমত সমীক্ষাতে দেখা গিয়েছে ‘পছন্দের মুখ্যমন্ত্রী’ হিসেবে জাঠ শিখ নেতা সিধুর চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন চন্নী। এরই মধ্যে বুধবার পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সুনীল ঝাখর দাবি করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে অমরেন্দ্রর বিদায়ের পরে তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচনের জন্য কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠক হয়েছিল। সুনীলের কথায়, ‘‘ওই বৈঠকে ৪৬ জন কংগ্রেস বিধায়ক আমাকে সমর্থন করেছিলেন। ১৬ জন সুখজিন্দর সিংহ রণধাওয়াকে (বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রী)। এ ছাড়া প্রীণিত কউরকে (অমরেন্দ্রর স্ত্রী) ১২ জন, সিধুকে ৬ জন এবং চন্নীকে মাত্র ২ জন বিধায়ক সমর্থন করেন।’’