Assam Incident

‘ধর্ষণ কী?’ প্রশ্ন ছিল অসমের কিশোরীর, দু’দিন পর নিজেই হল নির্যাতনের শিকার

গত ২২ অগস্ট নওগাঁর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। অর্ধচেতন অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসা চলছে তার।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২৪ ১৩:৩৫
Assam teen had asked aunt what rape is two days before she was gang-raped

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আরজি কর-কাণ্ডের জেরে ধর্ষণ শব্দের সঙ্গে পরিচিতি। কাকিমাকে ১৪ বছরের নাবালিকার প্রশ্ন ছিল, ‘‘ধর্ষণ কী?’’ দু’দিন পর তাঁকেই হতে হল ধর্ষণের শিকার! গত ২২ অগস্ট অসমের নওগাঁয় রাস্তার পাশ থেকে অর্ধচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই কিশোরীকে। অভিযোগ, কোচিং সেন্টার থেকে ফেরার সময় তাকে তিন জন দুষ্কৃতী গণধর্ষণ করে। তার পর রাস্তার ধারে তাকে ফেলে রেখে যায় তারা।

Advertisement

নির্যাতিতার কাকিমা ‘ইন্ডিয়া টুডে’র সঙ্গে কথা বলার সময় বার বার শিউরে উঠছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমাকে ঘটনার দু’দিন আগেই ধর্ষণ নিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিল। আমি শুনে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। ওকে কী উত্তর দেব ভেবে পায়নি।’’ তার পরই তিনি বলেন, ‘‘এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা আমাদের আমাদের সঙ্গে ঘটবে, ভাবতে পারিনি। এখন আমার মনে হচ্ছে, আমি ওকে (নির্যাতিতা) রক্ষা করতে ব্যর্থ।’’ মেয়ে বড় হয়ে ডিএসপি হতে চেয়েছিল, কান্নাভেজা গলায় জানান নির্যাতিতার কাকিমা।

কাকা-কাকিমা, ঠাকুরদা-ঠাকুমার কাছেই থাকত ওই কিশোরী। তার বাবা-মা গুয়াহাটিতে থাকেন। মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালানোর মতো সামর্থ্য নেই তাঁদের। তাই ওই কিশোরীকে নিজের কাছে এনে রেখেছিলেন তার কাকিমা। কিশোরীর বাবা হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে বলছেন, ‘‘মেয়েকে এমন অবস্থায় দেখব, তা ভাবতে পারেনি।’’ গত ২২ অগস্ট নওগাঁর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসা চলছে তার।

অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ঘটনার নিন্দা করে জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের ব্যবস্থা করা হবে। অভিযুক্তদের কোনও ভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। উল্লেখ্য, নওগাঁর ধর্ষণের ঘটনায় তদন্তে নেমে অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, এই ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত তফাজুল ইসলামকে ধরতে যান তদন্তকারীরা। তবে পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে পুকুরে ঝাঁপ মারেন ওই অভিযুক্ত। তাকে জল থেকে টেনে তোলা হলেও বাঁচানো যায়নি। বাকি অভিযুক্তদের খুঁজছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement