—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি দমনের দায়িত্ব এ বার পাচ্ছে দেশের প্রাচীনতম আধাসামরিক বাহিনী। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত অসম রাইফেলসের দু’টি ব্যাটেলিয়নকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জম্মুতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ‘দ্য প্রিন্ট’-এ প্রকাশিত একটি খবর জানাচ্ছে।
জঙ্গলযুদ্ধে বিশেষ প্রশিক্ষিত ওই আধাসেনা ব্যাটেলিয়ন দু’টিকে মণিপুর থেকে এনে সাম্বা সেক্টরের উত্তরে মাচেদিতে মোতায়েন করা হবে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে। পাহাড় ও জঙ্গলে ঘেরা ওই এলাকায় সাম্প্রতিক কালে নিরাপত্তা বাহিনীর উপর বেশ কয়েক বাক হামলা চালিয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিরা।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে একাধিক কারণ দেখছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একাংশ। প্রথমত, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে জম্মুর ওই অঞ্চলের ভৌগোলিক সাদৃশ্য থাকায় মূলত উত্তর-পূর্বের নাগরিকদের নিয়ে গড়া অসম রাইফেলসের অফিসার এবং জওয়ানদের পক্ষে কাজ করা বিএসএফ বা সিআরপিএফের মতো অন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর চেয়ে সহজ হবে। দ্বিতীয়ত, এর ফলে কাশ্মীর উপত্যকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রাষ্ট্রীয় রাইফেলস বাহিনীর কোনও ব্যাটেলিয়নকে জম্মুতে পাঠাতে হবে না।
কয়েক সপ্তাহ আগেই খবর মিলেছিল, জম্মুর পাহাড়ি অঞ্চলে লুকিয়ে রয়েছে ৪০ থেকে ৫০ জন জঙ্গি। অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিরা পাক অধিকৃত কাশ্মীরে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তাদের সঙ্গে আরপিজি, মেশিনগান-সহ আধুনিক অস্ত্র, নাইট ভিশন্স এবং উন্নত স্যাটেলাইট ফোন রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিক ভাবে জম্মুতে নাশকতা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। ২০২১ থেকে সেখানে জঙ্গি হামলার বলি হয়েছেন ৫০ জনেরও বেশি জওয়ান।
প্রসঙ্গত, ১৮৩৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জমানায় গঠিত অসম রাইফেলস দেশের প্রাচীনতম আধাসামরিক বাহিনী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ বাহিনীগুলির মধ্যে একমাত্র অসম রাইফেলসের নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনের ভার রয়েছে ভারতীয় সেনার অফিসারদের হাতে। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার পাশাপাশি ১৯৬২-তে চিনা হামলার জবাব দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল এই বাহিনী।