— প্রতীকী চিত্র।
তিন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার কী হল, জানতে চেয়ে সমাজমাধ্যমে প্রশ্ন ছুড়েছিলেন অসম প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র তথা গৌহাটি হাই কোর্টের আইনজীবী ঋতম সিংহ। এরই জেরে বিধায়ক-পত্নীর দায়ের করা মামলায় শনিবার পুলিশ টানাহ্যাঁচড়া করে তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। লখিমপুরের পুলিশ সুপার মিহিরজিৎ গায়ন বলেন, সমাজমাধ্যমে তাঁর ওই পোস্ট নিয়ে মামলা করেছেন বিজেপি বিধায়ক মানব ডেকার স্ত্রী। ওই মামলার তদন্তে নেমেই ঋতমকে গুয়াহাটি পুলিশের সাহায্যে গ্রেফতার করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডলে কংগ্রেস মুখপাত্র ২০২১ সালের এক ধর্ষণ মামলায় তিন জনের শাস্তির খবরের কথা উল্লেখ করে জানতে চান, বিধায়ক মানব ডেকা, অসম প্রদেশ বিজেপির সদ্যপ্রাক্তন সভাপতি বিধায়ক ভবেশ কলিতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজেন গোঁহাইয়ের শাস্তি কবে হবে। বিজেপির তিন নেতাকেই তিনি ধর্ষণে অভিযুক্ত বলে ইঙ্গিত করেন। অসম বিজেপির হ্যান্ডলে ট্যাগ করে তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, ‘‘এই বুঝি সবার জন্য সমান আইনের নমুনা?’’ তার পরেই মানব ডেকার স্ত্রী মামলা করেন।
পুলিশের ডাকে ঋতম শুরুতে গুয়াহাটির উলুবাড়ি আবাসনে তাঁর ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে আসতে অস্বীকার করেন। গ্রেফতারি পরোয়ানা বা নোটিস দেখাতে বলেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ডেকে তাঁকে জোর করেই ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। লোকসভায় কংগ্রেস দলের উপনেতা গৌরব গগৈ সে সময়ে সেখানে গিয়ে উপস্থিত হন। এ ভাবে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিরোধিতা করলেও পুলিশ তাঁর কথায় কান দেয়নি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আজই দেড়গাঁওয়ে পুলিশ অ্যাকাডেমির অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করতে গিয়ে উল্লেখ করেন, আজকের দিনে তাঁকে তখনকার মুখ্যমন্ত্রী হিতেশ্বর শইকিয়ার নির্দেশে পুলিশ গ্রেফতার করে ছ’দিন জেলে আটকে রেখেছিল। গৌরবের অভিযোগ, এরই বদলা নিতে আজ ঋতমকে জোর করে তুলে নিয়েছে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার পুলিশ।
গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময়ে আইনজীবী ঋতম হাই কোর্টের সাম্প্রতিক এক রায়ের কপি দেখিয়ে বলেন গ্রেফতারি পরোয়ানা বা নোটিস ছাড়া গ্রেফতার অবৈধ। তাই তাঁকে এ ভাবে ধরে নিয়ে গিয়ে লখিমপুর পুলিশ আদালত অবমাননা করছে। তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের বক্তব্য, ‘‘সমাজমাধ্যমে সম্পূর্ণ ন্যায্য পোস্ট করার জন্য ঋতমের গ্রেফতারি ভয়ঙ্কর ঘটনা।’