Manipur Violence

মণিপুরের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে, পরিদর্শনে গেলেন সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে

মেইতেই জনগোষ্ঠীর দাবির বিরোধিতায় গত ৩ মে মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে মিছিল করেছিল ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অব মণিপুর’। সেখান থেকেই সংঘাতের সূচনা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
ইম্ফল শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২৩ ১৩:৫৫
Army Chief General Manoj Pande to visit Manipur on Saturday

মণিপুর পরিদর্শনে সেনাপ্রধান। — ফাইল চিত্র।

অশান্ত মণিপুর পরিদর্শনে গেলেন ভারতীয় স্থলসেনার প্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। সেনা তরফে জানানো হয়েছে জেনারেল পাণ্ডের দু’দিনের মণিপুর সফরের সঙ্গী হয়েছেন, সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাণা প্রতাপ কলিতা।

গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত হয়েছিল মণিপুরে। তার পরেই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিজেপি শাসিত ওই রাজ্যের নিরাপত্তার দায়িত্ব হাতে নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেনার পাশাপাশি, অসম রাইফেলসের মতো কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও নামানো হয় মণিপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষার কাজে। সিআরপিএফের প্রাক্তন প্রধান কুলদীপ সিংহ এবং তাঁর অধীনে এডিজিপি (ইন্টেলিজেন্স) আশুতোষ সিংহকে সমগ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

Advertisement

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই সংঘাতের সূচনা হয় সেখানে। আদি বাসিন্দা মেইতিই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি, জ়ো-সহ কয়েকটি জনজাতি সম্প্রদায়ের সংঘর্ষের জেরে সে রাজ্যে সরকারি হিসাবে ৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহতের সংখ্যা প্রায় ৩০০। গোষ্ঠীহিংসার জেরে ঘরছাড়া হয়েছেন ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ! তবে শুক্রবার থেকে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের সরকারের দাবি।

আরও পড়ুন
Advertisement