কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।
ওজন কমালেন কী ভাবে, বিশ্ব যকৃৎ দিবসে সেই রহস্যই ফাঁস করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দেশের যুবসমাজকে তাদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে সতর্ক হওয়ার বার্তা দেন তিনি। স্বাস্থ্যের প্রতি সক্রিয় ভাবে মনোযোগ দেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেন শাহ। তিনি মূলত যুবসমাজের উদ্দেশে জানান, যদি আরও ৪০-৫০ বছর বেঁচে দেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখতে হয় হয়, তো স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হতে হবে!
যুবসমাজকে অনুপ্রাণিত করতে গিয়ে শাহ নিজের উদাহরণ দিয়েছেন। তিনি কী ভাবে নিজের শরীর সুস্থ রাখার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন, তা-ও ব্যাখ্যা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শাহের মতে, খাদ্যাভাস পরিবর্তন, ঘুমের সময় বৃদ্ধি এবং প্রতি দিন ব্যায়াম করার অভ্যাস করতে হবে। তিনি মনে করেন, জীবনধারা পরিবর্তন করলেই মিলবে সুফল।
বিশ্ব যকৃৎ দিবসে দিল্লির এক ইনস্টিটিউটে প্রধান অতিথি হিসাবে এসেছিলেন শাহ। সেখানে বক্তৃতা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘প্রয়োজনীয় পরিমাণ ঘুম, জলপান, খাদ্যাভাস পরিবর্তন এবং নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। সেই কারণেই আমি ওষুধ এবং ইনসুলিন থেকে মুক্ত।’’
শাহ জানান, ২০২০ সাল থেকে তিনি ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন। কী ভাবে তিনি সেই যাত্রাপথে হেঁটেছেন, তারও ব্যাখ্যা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি মনে করেন, ব্যায়াম এবং ঘুমকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। শাহের কথায়, ‘‘আমি সকলকে অনুরোধ করছি, তাঁরা যেন প্রতি দিন দু’ঘণ্টা ব্যায়াম করেন এবং অন্তত ছ’ঘণ্টা ঘুমোন। এই অভ্যাস অত্যন্ত কার্যকর হবে। এটা আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বিশ্ব যকৃৎ দিবসে সকলকে তেলজাতীয় খাদ্য বর্জন করার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে শরীরের প্রতি যত্নবান হওয়ার কথা বলেন তিনি।