Allahabad High Court on Domestic Violence

পুত্রবধূর নির্যাতন থেকে বাঁচতে শাশুড়িও পাবেন গার্হস্থ্য হিংসা আইনের সুরক্ষা, জানাল কোর্ট

পুত্রবধূ পাল্টা আবেদনে জানিয়েছিলেন, গার্হস্থ্য হিংসা আইনে একমাত্র বধূরাই সুরক্ষা পেতে পারেন। শাশুড়ি নয়। ওই তরুণীর সেই আবেদনই খারিজ করে দিল ইলাহাবাদ হাই কোর্টের লখনউ বেঞ্চ।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ২০:০৪
Allahabad High Court says Mother in law can seek protection against Daughter in law

শাশুড়িও পাবেন আইনি সুরক্ষা। জানাল আদালত। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

শুধু বধূ নন, গার্হস্থ্য হিংসা আইন ২০০৫-এ সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার রয়েছে শাশুড়িদেরও। একটি মামলায় সেই পর্যবেক্ষণের কথাই জানাল ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। পুত্রবধূর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শাশুড়ি। পুত্রবধূ পাল্টা আবেদনে জানিয়েছিলেন, গার্হস্থ্য হিংসা আইনে একমাত্র বধূরাই সুরক্ষা পেতে পারেন। শাশুড়ি নয়। ওই তরুণীর সেই আবেদনই খারিজ করে দিল ইলাহাবাদ হাই কোর্টের লখনউ বেঞ্চ। নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখে তাদের পর্যবেক্ষণ, আইনের প্রয়োগ এত সীমাবদ্ধ হতে পারে না। একই বাড়িতে বসবাসকারী কারও দ্বারা নির্যাতিত হলেই সেই মহিলা গার্হস্থ্য হিংসা আইনে সুরক্ষা পেতে পারেন।

Advertisement

ইলাহাবাদ হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘‘শাশুড়িকে বৌমা বা পরিবারের কেউ হেনস্থা, শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করলে তিনিও ২০০৫ সালের প্রোটেকশন অফ উওম্যান ফ্রম ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স আইনের ১২ নম্বর ধারার অধীনে আদালতে আবেদন করতে পারবেন।’’

সুধা মিশ্র নামে এক প্রৌঢ়ার করা মামলার প্রেক্ষিতে আদালত এই মন্তব্য করেছে। পুত্রবধূ গরিমা মিশ্রের বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আবেদন করেছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, পুত্রকে নিয়ে নিজের বাপের বাড়ি রায়বরেলিতে চলে যেতে চেয়েছিলেন গরিমা। সুধার পুত্র তাতে রাজি হননি। প্রৌঢ়ার অভিযোগ, এর ফলে তাঁকে নির্যাতন করতে শুরু করেন গরিমা। ২০২৪ সালের জুন মাসে তাঁর থেকে টাকা, গয়নাও নিয়ে নেন বলে অভিযোগ। এর পরেই ম্যাজিস্ট্রেট গরিমাকে তলব করেন। সেই তলবে সাড়া না দিয়ে গরিমা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। সেখানে তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন যে, পণের জন্য তাঁকে নির্যাতন করা হয়েছে। সে জন্য তিনি থানায় অভিযোগ করেছিলেন বলেই তাঁর বিরুদ্ধে হেনস্থার মামলা করেছেন শাশুড়ি। তিনি এ-ও দাবি করেন যে, গার্হস্থ্য হিংসা আইনের অধীনে তাঁর শাশুড়ি আবেদন করতে পারেন না। কারণ, এই আইন শুধুমাত্র বধূদের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের থেকে সুরক্ষা দেয়। হাই কোর্ট যদিও ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশই বহাল রাখে। জানিয়ে দেয়, বধূ বা শাশুড়ি সকলের সুরক্ষার সংস্থানই রয়েছে আইনে।

Advertisement
আরও পড়ুন