Live-In Relationship

‘লিভ-ইন সম্পর্ক আসলে মোহ, টাইমপাস’, যুগলকে নিরাপত্তা দিল না ইলাহাবাদ হাই কোর্ট

অতীতে একাধিক মামলায় লিভ-ইন সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিয়েছে স্বয়ং সুপ্রিম কোর্ট। তা মেনে নিয়েও ইলাহাবাদ হাই কোর্ট এই ধরনের সম্পর্ককে ‘মোহ’ বলে উল্লেখ করেছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
প্রয়াগরাজ শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:৩৪
Allahabad High Court says live-in relationships are infatuation

—প্রতীকী চিত্র।

লিভ-ইন সম্পর্ককে ‘মোহ’, ‘টাইমপাস’-এর তকমা দিল ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। এই ধরনের সম্পর্ককে কোনও গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কের স্বীকৃতি দিতে নারাজ তারা। ভিন্‌ধর্মী এক যুগলের নিরাপত্তার আবেদন খারিজ করে দিয়ে এমনটাই মন্তব্য করেছে হাই কোর্টের বিচারপতি রাহুল চতুর্বেদী এবং মহম্মদ আজ়হার হুসেইন ইদ্রিসির ডিভিশন বেঞ্চ।

Advertisement

অতীতে একাধিক মামলায় লিভ-ইন সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিয়েছে স্বয়ং সুপ্রিম কোর্ট। তা মেনে নিয়েও এই বিশেষ মামলার ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, যুগলের বয়স, এবং তাঁরা কত দিন লিভ-ইন সম্পর্কে রয়েছেন, তা বিবেচনা করা দরকার।

হাই কোর্ট বলেছে, ‘‘আমরা মানছি, শীর্ষ আদালত একাধিক ক্ষেত্রে লিভ-ইন সম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়েছে। কিন্তু ২০-২২ বছর বয়সে মাত্র দু’মাসের সম্পর্কে ওঁরা নিজেদের নিয়ে ভাল করে ভাবতে এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন বলে মনে হয় না। এটা বিপরীত লিঙ্গের প্রতি মোহ বলে মনে হচ্ছে।’’ এই ধরনের সম্পর্ক ক্রমে ‘টাইমপাস’ বা সময় কাটানোর মাধ্যমে পরিণত হয়ে ওঠে বলেও জানিয়েছে উচ্চ আদালত।

আদালতের আরও পর্যবেক্ষণ, ‘‘জীবন কোনও গোলাপের বিছানা নয়। প্রতি যুগলকে জীবনে কঠিন বাস্তবের পরীক্ষা দিতে হয়। আমাদের অভিজ্ঞতা বলছে, এই ধরনের সম্পর্ক একসময় ‘টাইমপাস’ হয়ে যায়। এগুলি সাময়িক। তাই আমরা মামলাকারী এই যুগলকে এখনই কোনও নিরাপত্তা দিচ্ছি না।’’

স্বেচ্ছায় ঘর বাঁধতে চেয়ে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেছিলেন ভিন্‌ধর্মী ওই যুগল। কিন্তু তরুণীর পরিবারের তরফে যুবকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অপহরণ-সহ একাধিক ধারায় মামলাও রুজু করা হয়েছে। কিন্তু তরুণী জানিয়েছেন, তিনি প্রাপ্তবয়স্ক এবং নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নিজেই নিয়েছেন। মামলা চলাকালীন নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন যুগল। সেই মামলায় এমন মন্তব্য করল হাই কোর্ট।

আরও পড়ুন
Advertisement