এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের পাইলটের মৃত্যু।
মাসখানেক আগেই বিয়ে হয়েছিল তাঁর। বুধবার বিমানের ককপিটে বসেই মৃত্যু হল সেই পাইলটের। জানা গিয়েছে, মৃত্যুর আগে বমি করেছিলেন বছর আঠাশের ওই পাইলট। তার পরই মৃত্যু হয় তাঁর। তবে বিমানটিকে নিরাপদেই অবতরণ করিয়েছেন পাইলট। প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়েছে, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
শ্রীনগর থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমানের পাইলট ছিলেন। জানা গিয়েছে, বিমানটি দিল্লিতে অবতরণের পরই পাইলট অসুস্থ বোধ করেন। তার পরই বমি শুরু হয় তাঁর। পাইলটের শারীরিক অবস্থার কথা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানান সহ-পাইলট। তার পরই তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা পাইলটকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পাইলটের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস। বৃহস্পতিবার সংস্থার তরফে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘‘পাইলটের মৃত্যুতে আমরা মর্মাহত। তাঁর পরিবারকে এই দুঃসময়ে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আমরা।’’
গত কয়েক বছরে বেশ কয়েক জন পাইলটের কর্তব্যরত অবস্থার হৃদ্রোগে মারা যাওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে। প্রয়োজনীয় বিশ্রামের অভাব এর অন্যতম কারণ বলে অভিযোগ। এই আবহে দিল্লি হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে বিমান চলাচল নিয়ামক সংস্থা ডিজিসিএ (ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন) ১ জুলাই থেকে বিমানচালকদের বিশ্রামের নতুন বাধ্যতামূলক বিধি কার্যকর করতে চলেছে। নতুন নিয়মে পাইলটদের সাপ্তাহিক বিশ্রাম ৩৬ ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে ৪৮ ঘণ্টা করা হয়েছে।