(বাঁ দিকে) অজিত ডোভাল। ওয়াং ই (ডান দিকে)। ছবি: পিটিআই।
ভারত ও চিনের বিশেষ প্রতিনিধি পর্যায়ের সাম্প্রতিক বৈঠকের পরে বিতর্কের সুর। চিনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ছ'টি বিষয় নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে নয়াদিল্লি এবং বেজিং। ভারতের বিবৃতিতে তার উল্লেখ নেই।
ভারতে নিযুক্ত চিনের দুত শু ফেহং বলেন, কৈলাস মানস সরোবরে তীর্থযাত্রা ফের শুরু করা, আন্তঃসীমান্ত নদীর ক্ষেত্রে সহযোগিতা, নাথু লা-তে বাণিজ্য শুরু করার মতো মোট ছ’টি বিষয় নিয়ে ঐকমত্য হয়েছে নয়াদিল্লি এবং বেজিংয়ের। কিন্তু এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, বৈঠকে যে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সেগুলির বিষয়ে ইতিমধ্যেই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। ভারত কেবল মাত্র সেই বিবৃতিটি নিয়েই কথা বলতে পারে। চিন কী বলল, সেটা তাদের ব্যাপার। অন্য দিকে, নাম গোপন রাখার শর্তে বিষয়টির সঙ্গে অবহিত আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, ওই ছ'টি বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু সেটা নিয়ে যে এখনই ঐকমত্যে পৌঁছনো গিয়েছে, এমন দাবি করার মতো জায়গায় এখনও পৌঁছয়নি আলোচনা।
তবে জয়সওয়াল জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক বৈঠকে উঠে আসা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হবে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু করার মতো যে আন্তঃসীমান্ত বিষয়গুলি নিয়ে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, সেগুলিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। তাঁর কথায়, “ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। আর যে আন্তঃসীমান্ত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সেগুলির ভিত্তিতে আরও এগোনোর লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।” জয়সওয়ালের কথায়, “দু’টি দেশই ২০০৫ সালে তৈরি করা রাজনৈতিক পরিধি এবং নীতি নির্ধারণ অনুযায়ী সীমান্ত সমস্যা সমাধানের পথ খোঁজার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। এমন পথ খোঁজা হবে, যার পারস্পরিক গ্রহণযোগ্যতা থাকবে।”