Namaz Break in Assam Assembly

জুম্মার নমাজে আর বিরতি নয় অসম বিধানসভায়! মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তের সিদ্ধান্তে বিতর্ক

সরকারের সুপারিশে জুম্মার নমাজে অধিবেশন বিরতির রীতি পুনর্বিবেচনার জন্য গত এপ্রিলে অসম বিধানসভার স্পিকার সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছিলেন। তার রিপোর্টের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:১৩

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

বিজেপি শাসিত অসমের বিধানসভার অধিবেশনে জুম্মার নমাজ পাঠের প্রচলিত দু’ঘণ্টার বিরতি তুলে দেওয়া হল। শুক্রবার এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। বিধানসভায় গত অগস্টে পাশ হওয়া একটি প্রস্তাবের ভিত্তিতেই এই পদক্ষেপ বলে দাবি করেছেন বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ ফুকন।

Advertisement

অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সমাজমাধ্যমে এই বিষয় নিয়ে আগেই একটি পোস্ট করেছিলেন। তাতে লিখছিলেন ‘‘আমরা কাজকে অগ্রাধিকার দিতে চাই। তাই অসম বিধানসভায় জুম্মার নমাজের দু’ঘণ্টার বিরতির প্রথা তুলে দেওয়া হচ্ছে। মুছে ফেলা হচ্ছে ঔপনিবেশিকতার আরও একটি চিহ্ন। ১৯৩৭ সালে মুসলিম লিগের সৈয়দ সাদউল্লা এই প্রথা চালু করেছিলেন।’’

ওই ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপে’ সহায়তার জন্য অসম বিধানসভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দইমারি-সহ শাসক শিবিরের বিধায়কদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতা হিমন্ত। প্রসঙ্গত, জুম্মার নমাজের দু’ঘণ্টার অধিবেশন বিরতির রীতি পুনর্বিবেচনার জন্য গত এপ্রিলে অসম বিধানসভার স্পিকার সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছিলেন৷ কমিটিতে বিভিন্ন দলের বিধায়কেরা ছিলেন। কয়েক দফা বৈঠকে কমিটির সব সদস্যই ব্রিটিশ আমলের ওই প্রথাকে তুলে দিতে সম্মত হয়েছিলেন বলে হিমন্ত সরকারের দাবি।

কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে শুক্রবার বাজেট অধিবেশন পর্ব থেকেই উঠে গেল জুম্মার নমাজে দু’ঘণ্টা বিরতির প্রায় ন’দশকের পুরনো প্রথা। অসমের অন্যতম বিরোধী দল এআইইউডিএফ বিধায়ক রফিকুল ইসলাম বিজেপি সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেন, ‘‘সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ এর ফলে ১২৬ আসনের অসম বিধানসভার প্রায় ৩০ জন মুসলিম বিধায়ক সমস্যায় পড়বেন বলে তাঁর অভিযোগ। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা, কংগ্রেসের দেবব্রত শইকিয়া মুসলিম বিধায়কদের জন্য বিধানসভা ভবনের কাছাকাছি নমাজ পড়ার ব্যবস্থা করার দাবি তুলছেন।

Advertisement
আরও পড়ুন