Shraddha Walkar Murder Case

বাড়ি বদলের সময় তুমুল ঝগড়া লেগেছিল শ্রদ্ধা-আফতাবের, পুলিশকে খোদ জানালেন অভিযুক্ত

শ্রদ্ধাকে খুনের দায়ে অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুণাওয়ালা সোমবার দিল্লি পুলিশকে জানিয়েছেন, মুম্বই থেকে দিল্লি আসার সময়েও শ্রদ্ধার সঙ্গে তাঁর তুমুল ঝগড়া হয়েছিল, সেই ঝগড়ার কারণও জানান আফতাব।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২২ ১৬:০৮
মুম্বই থেকে দিল্লি আসার সময়েও শ্রদ্ধার সঙ্গে আফতাবের তুমুল ঝগড়া হয়েছিল, পুলিশকে জানালেন অভিযুুক্ত নিজেই।

মুম্বই থেকে দিল্লি আসার সময়েও শ্রদ্ধার সঙ্গে আফতাবের তুমুল ঝগড়া হয়েছিল, পুলিশকে জানালেন অভিযুুক্ত নিজেই। —ফাইল চিত্র।

শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ড নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। শ্রদ্ধাকে খুনের দায়ে অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুণাওয়ালা সোমবার দিল্লি পুলিশকে জানিয়েছেন, মুম্বই থেকে দিল্লি আসার সময়েও শ্রদ্ধার সঙ্গে তাঁর তুমুল ঝগড়া হয়েছিল, সেই ঝগড়ার কারণও জানান আফতাব। তিনি জানান, মুম্বই থেকে নয়াদিল্লি আসার সময় জিনিসপত্র গোছগাছ করছিলেন দু’জনে। সব জিনিস প্যাক করতে ৩৭টি বাক্স লেগেছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু ওই বাক্সগুলি মুম্বই থেকে দিল্লি সরবরাহ করার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন ছিল। আফতাবের দাবি, এই বাক্সগুলি দিল্লিতে পৌঁছনোর জন্য ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল। কিন্তু শ্রদ্ধা এবং আফতাবের মধ্যে কে এই টাকা দেবেন তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝগড়া বাধে বলে পুলিশকে জানান আফতাব।

পুরো ব্যাপারটি খতিয়ে দেখে পুলিশ। যে প্যাকেজিং সংস্থার মাধ্যমে আফতাব এবং শ্রদ্ধা মুম্বই থেকে দিল্লিতে বাক্সগুলি সরবরাহ করেছিলেন, সেই সংস্থার এক কর্মী পুলিশকে জানান, আফতাব জুন মাসে মহারাষ্ট্রের পালঘর থেকে দিল্লির ছতরপুর এলাকার ফ্ল্যাটে আসেন। বাড়ি বদলির সময় মুম্বই থেকে ৩৭টি বাক্স নিয়ে আসা হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন প্যাকেজিং সংস্থার ওই কর্মী।

Advertisement

সম্প্রতি দক্ষিণ দিল্লির মেহরৌলির জঙ্গল থেকে মাথার খুলি, দাঁত, চোয়াল উদ্ধার করেছে দিল্লি পুলিশ। ওই দেহাংশগুলি এক মহিলার বলে পুলিশ সূত্রের খবর। তবে দেহাংশগুলি শ্রদ্ধারই কি না, তা এখনও পর্যন্ত পুলিশের তরফে নিশ্চিত করে কিছু জানানো হয়নি।

প্রসঙ্গত, একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে আলাপ হয়েছিল শ্রদ্ধা-আফতাবের। আফতাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত ১৮ মে দিল্লির মেহরৌলিতে একত্রবাসে থাকা প্রেমিকা শ্রদ্ধাকে খুন করেন আফতাব। আমেরিকার এক ওয়েব সিরিজ় থেকে ‘অনুপ্রেরণা’ নিয়ে শ্রদ্ধার মৃতদেহ ৩৫ টুকরো করে ফেলেন আফতাব। সেই মৃতদেহ সংরক্ষণ করে রাখতে নতুন ফ্রিজও কিনে আনেন তিনি। এর পর ১৮ দিন ধরে মেহরৌলির জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় শ্রদ্ধার দেহের টুকরোগুলি ছড়িয়ে দিয়ে আসেন অভিযুক্ত আফতাব।

আরও পড়ুন
Advertisement