Uttar Pradesh

টিফিনে বিরিয়ানি, প্রধান শিক্ষকের রোষে বরখাস্ত খুদে

গোলমালের সূত্রপাত স্কুলে আমিষ খাবার নিয়ে যাওয়া নিয়ে। আর তাই স্কুল থেকে বরখাস্ত করা হয় পড়ুয়াটিকে। ঘটনাটি জানতে পেরে স্কুলে ছুটে যান শিশুটির মা।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
লখনউ শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:৪৭
Representative Image

—প্রতীকী ছবি।

ছেলেকে অতি যত্ন ভরে স্কুলের টিফিনে বিরিয়ানি দিয়ে পাঠিয়েছিলেন মা। আর তাতেই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কোপে পড়তে হল বছর পাঁচেকের ওই শিশুকে। শুধু তাই নয়, স্কুল থেকে বরখাস্তও হতে হল ওই পড়ুয়াকে। উত্তরপ্রদেশের আমরোহার বেসরকারি স্কুলের ঘটনা।

Advertisement

গোলমালের সূত্রপাত স্কুলে আমিষ খাবার নিয়ে যাওয়া নিয়ে। আর তাই স্কুল থেকে বরখাস্ত করা হয় পড়ুয়াটিকে। ঘটনাটি জানতে পেরে স্কুলে ছুটে যান শিশুটির মা। তাঁর ছেলের কী অপরাধ, তা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চান ওই মহিলা। উত্তরে প্রধান শিক্ষক জানান, ওই পড়ুয়া প্রায় প্রতিদিনই স্কুলে আমিষ খাবার নিয়ে আসে। অন্য পড়ুয়াদের সেই খাবার খেতে জোর করত সে। যার ফলে নিরামিষভোজীদের অসুবিধায় পড়তে হচ্ছিল। তাঁর আরও দাবি, ওই শিশুটিকে নিয়ে অন্য অভিভাবকদের সমস্যা রয়েছে। সেই জন্যই স্কুলের খাতা থেকে পড়ুয়ার নাম কেটে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। প্রধান শিক্ষক অবিনাশ শর্মার অভিযোগ অবশ্য এখানেই শেষ হয়নি। তিনি আরও জানান, ভিন্ ধর্মের সহপাঠীদের না কি ধর্ম পরিবর্তন করে মুসলিম হয়ে যাওয়ারও পরামর্শ দিত ওই পড়ুয়া। আর সেই কারণেই স্কুলের খাতা থেকে পড়ুয়ার নাম কেটে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

ছেলের বিরুদ্ধে এ হেন অভিযোগ শুনে অবশ্য চুপ থাকেননি পড়ুয়ার মা। তাঁর পাল্টা, পাঁচ বছরের শিশুর পক্ষে এমন কথা বলা অসম্ভব। ওই পড়ুয়ার মায়ের অভিযোগ, স্কুলে অহেতুক ধর্ম নিয়ে বিদ্বেষ ছড়ানো হয়। এমনকি তাঁর ছেলের সঙ্গে নিয়মিত অন্য পড়ুয়ারা দুর্ব্যবহার করত ও তাকে মারধর করত বলেও অভিযোগ ওই মহিলার। যদিও প্রধান শিক্ষক সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

প্রধান শিক্ষক এবং শিশুটির মায়ের গোটা কথোপকথনের ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। ৫ সেপ্টেম্বর, শিক্ষক দিবসের দিনে ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিয়োটি দেখে ধিক্কার জানিয়েছেন নেটিজ়েনদের একাংশ।

ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আমরোহার ‘মুসলিম কমিটি’। স্পর্শকাতর এই বিষয়টি নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছে তারা। এ ছাড়াও ওই বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক অবিনাশ শর্মার পদত্যাগেরও দাবি তুলেছে কমিটি। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছেন আমরোহার মহকুমাশাসক। তিন সদস্যের কমিটি গড়ে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ওই কমিটির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন
Advertisement