Virus Infection

আবার চণ্ডীপুরা ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত, গুজরাতে মৃত্যু ৪ বছরের শিশুর, বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা

মহারাষ্ট্রের চণ্ডীপুরা গ্রামে এই ভাইরাসের প্রথম হদিস মিলেছিল। সেই থেকেই নাম চণ্ডীপুরা ভাইরাস। সম্প্রতি গুজরাতের একাধিক জেলায় মাথাচাড়া দিচ্ছে এই ভাইরাস।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৪ ১৫:২৭
A four years child died due to infection of Chandipura Virus in Gujarat, several others supectedly infected

হাসপাতালে রোগীদের দৃশ্য। —ফাইল চিত্র।

চিকিৎসকদের উদ্বেগ বাড়িয়ে আবারও হাজির চণ্ডীপুরা ভাইরাস। গুজরাতে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত কয়েক দিনে এই ভাইরাসের কারণে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল। বুধবারই গুজরাতের স্বাস্থ্য দফতর থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, ওই ১৫ জনের মধ্যে চার বছরের এক শিশুও রয়েছে। চণ্ডীপুরা ভাইরাসের কারণে সরকারি ভাবে জানানো এটাই প্রথম মৃত্যু গুজরাতে। বাকি ১৪ জনের মৃত্যুও এই ভাইরাসের কারণেই হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ।

Advertisement

গুজরাতের রাজকোট, আমদাবাদ, মোরবি-সহ বেশ কিছু জায়গা থেকে সংক্রমিতদের খোঁজ মিলছে। অন্তত ১০টি জেলায় এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বলে আশঙ্কা। বুধবার সে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ২৯ জনের শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এই ২৯ জনের মধ্যে ২৬ জন গুজরাতের বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে দু’জন রাজস্থানের ও একজন মধ্যপ্রদেশের।

চণ্ডীপুরা ভাইরাসের মূল উপসর্গ হল জ্বর, বমি বমি ভাব, মাথা যন্ত্রণা এবং খিঁচুনি। মূলত এই ভাইরাসের বাহক হল মশা। চিকিৎসক মহলের মতে, শিশুদের এই ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ১৯৬৫ সালে মহারাষ্ট্রের চণ্ডীপুরা গ্রামে এই ভাইরাসের হদিস মিলেছিল। সেই থেকেই এর নাম চণ্ডীপুরা ভাইরাস। পরে ২০০৩-০৪ সালে এই ভাইরাসের প্রকোপ দেখা গিয়েছিল মধ্য ভারতে। অন্ধ্রপ্রদেশ ও গুজরাতে সেই সময় এই ভাইরাসে সংক্রমিতদের মধ্যে মৃত্যুর হার ছিল ৫৬-৭৫ শতাংশ।

আরও পড়ুন
Advertisement