PFI

পিএফআইয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির আগেই প্রতিবাদ পাক কূটনীতিকের! টুইট ঘিরে শুরু বিতর্ক

বিজেপি নেতা হর্ষ চতুর্বেদী সেই টুইটের স্ক্রিনশট তুলে ধরে লিখেছেন, ‘পিএফআই-কে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত যে ঠিক ছিল, পাকিস্তান পাশে দাঁড়ানোতেই তার প্রমাণ মিলেছে’।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২০:২৮
পিএফআইয়ের পাশেই পাকিস্তান।

পিএফআইয়ের পাশেই পাকিস্তান। ছবি: সংগৃহীত।

নরেন্দ্র মোদী সরকার পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই)-কে নিষিদ্ধ করার ঠিক আগেই কট্টরপন্থী ওই মুসলিম সংগঠনের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছিল পাকিস্তান! সন্ত্রাসে আর্থিক মদত, গোষ্ঠীহিংসায় উস্কানির একাধিক মামলায় অভিযুক্ত পিএফআই-কে সমর্থন করে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারের পাক কনসাল জেনারেল তাঁর সরকারি টুইটার হ্যান্ডলে টুইট করেছিলেন! পিএফআই-কে পাক সমর্থনের ওই বার্তা ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞা জারির আগেই সামাজিক মাধ্যমে কট্টরপন্থী সংগঠনগুলির তরফে ‘স্ট্যান্ড ইউথ পপুলার ফ্রন্ট’ হ্যাশট্যাগে প্রচার শুরু হয়েছিল। সেখানে অভিযোগ তোলা হয়, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কণ্ঠরোধ করতেই পিএফআইয়ের উপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে মোদী সরকার। জননিরাপত্তা আইনে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে গ্রেফতার করা হচ্ছে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের!

Advertisement

ইন্টারনেটে সেই প্রচারেই মঙ্গলবার সমর্থন জানিয়েছিল ভ্যাঙ্কুভারের পাক কনসাল জেনারেলের সরকারি টুইটার হ্যান্ডল। ঘটনাচক্রে, তার পর দিনই মোদী সরকার নিষিদ্ধ করে পিএফআই এবং তার সহযোগী সংগঠনগুলিকে। বিজেপি নেতা হর্ষ চতুর্বেদী সেই টুইটের স্ক্রিনশট তুলে ধরে লিখেছেন, ‘‘পিএফআই-কে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত যে ঠিক ছিল, পাকিস্তান পাশে দাঁড়ানোতেই তার প্রমাণ মিলেছে।’’

প্রসঙ্গত, বুধবার পিএফআই-এর পাশাপাশি তাদের সহযোগী সংগঠন অল ইন্ডিয়া ইমামস্‌ কাউন্সিল, ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, রেহাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল উইমেন’স ফ্রন্ট, জুনিয়র ফ্রন্ট, ন্যাশনাল কনফারেন্স অফ হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন, এমপাওয়ার ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এবং রেহাব ফাউন্ডেশন (কেরল)-কেও কেন্দ্রের তরফে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে (ইউএপিএ) পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ইতিমধ্যেই ইন্টারনেটে নয়াদিল্লির সেই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শুরু হয়েছে মুসলিম কট্টরপন্থী গোষ্ঠীগুলির প্রচার।

আরও পড়ুন
Advertisement