Lightning

৪৮ ঘণ্টায় বিহারে বজ্রপাতে মৃত ১৯! সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে বেগুসরাই, দ্বারভাঙায়

মৌসম ভবন আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল ১২ এপ্রিল পর্যন্ত বিহারের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে শিলাবৃষ্টি এবং ঝড় হবে। পাঁচ দিন ধরে রাজ্যের ঝড়বৃষ্টির সতর্কতাও জারি করা হয়েছে আরও কয়েকটি জেলায়।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:১৬
বিহারে বাজ পড়ে মৃত্যু। প্রতীকী ছবি।

বিহারে বাজ পড়ে মৃত্যু। প্রতীকী ছবি।

বিহারে গত ৪৮ ঘণ্টায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। আহত বেশ কয়েক জন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

Advertisement

গত দু’দিন ধরে বিহারের বিভিন্ন প্রান্তে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি চলছে। দ্বারভাঙা, মধুবনি, সমস্তিপুর, মুজফ্‌ফরপুর, সীতামঢ়ী, শিওহর, পূর্ব চম্পারণ, সহর্ষ, বেগুসরাইয়ে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়। কোথাও কোথাওো আবার শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। মৌসম ভবন আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল ১২ এপ্রিল পর্যন্ত বিহারের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে শিলাবৃষ্টি এবং ঝড় হবে। পাঁচ দিন ধরে রাজ্যের ঝড়বৃষ্টির সতর্কতাও জারি করা হয় বেশ কয়েকটি জেলায়।

মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। মঙ্গল এবং বুধবার মিলিয়ে সাত জেলায় মোট ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, বাজ পড়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে বেগুসরাই এবং দ্বারভাঙায়। এই দুই জেলায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতি জেলায় পাঁচ জন করে। তিন জনের মৃত্যু হয়েছে মধুবনিতে। সহর্ষ এবং সমস্তিপুরে মোট চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও এক জন করে মারা গিয়েছেন লখিসরায় এবং গয়ায়। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন। মৃতদের পরিবারের জন্য ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন।

এ ছাড়াও ওই জেলাগুলিতে শিলাবৃষ্টির জেরে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আগামী কয়েক দিন গোপালগঞ্জ, সিওয়ান, সারণ, মুজফ্‌ফরপুর, বৈশালী, সমস্তিপুর, মাধেপুরা, পূর্ণিয়া, কাটিহার, ভাগলপুর, খাগাড়িয়া, বাঁকা, মুঙ্গের, জামুই, শেখপুরা, পটনা, নালন্দা, জেহানাবাদ এবং গয়ায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন